ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

৩ দিন ধরে খালি হাতেই বাড়ি ফিরছেন ওএমএসের চাল নিতে আসা হাদিজা

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ২০ ডিসেম্বর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আড়াই বছরের মেয়ে আরিশাকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির (ওএমএস) সারিতে দাঁড়িয়েছেন মা  হাদিজা আক্তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেননি। তিন দিন ধরে এভাবেই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাকে।

মঙ্গলবার সকালে হাদিজা জানান, চাল আর আটা কিনতে ভোর ছয়টায় এসে সারিতে দাঁড়িয়েছেন তিনি। গত রবিাবর থেকে পণ্য কিনতে এলেও পাননি কাঙ্ক্ষিত পণ্য। শুধু হাদিজা নন, আরো অনেকেই পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পণ্য নিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়েছেন পাশের বিদ্যালয় মাঠে।

পাহাড়তলী থানার ওএমএস ডিলার নাজির উদ্দিন চৌধুরী। উত্তর কাট্টলী এলাকায় তার বিক্রয়কেন্দ্র ‘মেসার্স নাজিম স্টোর’। সেখানেই খাদ্য অধিদপ্তরের বিক্রয় আদেশ অনুযায়ী প্রতিদিন দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বিক্রি বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেকের অভিযোগ গত তিন দিন ধরেই তারা পণ্য পাচ্ছেন না। ভোর থেকে অপেক্ষা করেও মিলছে না চাল ও আটা।

এ বিষয়ে নাজির উদ্দিন বলেন, খাদ্য অধিদপ্তর থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন বরাদ্দ থাকলেও পণ্য পাওয়া যায় চার দিন বা তিন দিন। তাই কয়েক দিন বিক্রি বন্ধ থাকে। তবে দোকানে আজ পণ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগরে ১৪টি ট্রাক ও ১৯টি দোকানে সরকারি ছুটি ব্যতীত বাকি পাঁচ দিন চলছে ওএমএসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। ১৪টি ট্রাকের জন্য প্রতিদিন ট্রাক প্রতি দুই মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ। এ ছাড়া ১৯টি দোকানের জন্য প্রতিদিন দোকানপ্রতি বরাদ্দ দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা। প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে চাল ও ২৮ টাকা দরে আটা কিনতে পারছেন ক্রেতারা। একজন পণ্য নিতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি।

চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক আবুল মনসুর মোহাম্মদ হাবীব বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৪১টি ওয়ার্ড হিসেবে বরাদ্দ কম। নগরের প্রতিটি এলাকায় তাই ঘুরে ঘুরে পণ্য বিক্রি চলে। যেসব এলাকায় লোকসংখ্যা বেশি সেখানে ওএমএস দোকানের পাশাপাশি ট্রাল সেল কার্যক্রমও চলে। 

আরও পড়ুন
স্বদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত