ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

২১ দিনের লকডাউনে ওয়ারীর একাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ৪ জুলাই ২০২০  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো


মহামারি নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে শনিবার (০৪ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকার একাংশ ২১ দিনের জন্য লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। এ লকডাউন চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। 

শনিবার ভোর থেকে ওই এলাকার মানুষের অবাধ যাতায়াত, সড়ক ও গলির মুখ কার্যকরভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এই লকডাউনের অধীনে রয়েছে ওয়ারী এলাকার তিনটি রোড ও পাঁচটি গলি। রোডগুলো হলো- টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) পর্যন্ত। গলিগুলোর মধ্যে লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র‌্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিটে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।

ওয়ারীর লকডাউন এলাকায় গত ১৪ দিনে করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে- আরো অনেকে সংক্রমিত হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।

গত ৩০ জুন কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে লকডাউন কার্যকর করা হলো।

লকডাউন কার্যকরের পূর্বে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। প্রতিটি রাস্তা ও গলির মুখ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিগত তিন দিন মাইকিং করে লকডাউনের প্রস্তুতি এলাকাবাসীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। ওয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে লকডাউন এলাকার নাম ও কট্রোল রুমের জরুরি ফোন নম্বর উল্লেখ করে ব্যানার টানানো হয়েছে।

জানা গেছে, লকডাউন এলাকায় সার্বিকভাবে সব কিছুই বন্ধ থাকবে, শুধু ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনীয় যাতায়াত সুবিধার জন্য ওয়ারী এলাকার দুটি পথ খোলা থাকবে। বাকি পথগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। এ এলাকায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বুথ থাকবে এবং সিটি কর্পোরেশনের মহানগর জেনারেল হাসপাতালে আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য মীনাবাজার ও স্বপ্নসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যেসব স্বাস্থ্যবিধি (এসওপি) দেয়া হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা হবে। 

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত