ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমা ৮ জানুয়ারি

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪০, ১২ জানুয়ারি ২০২০  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে ৮ জানুয়ারি। রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বিশ্ব তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বিদের মাশওয়ারায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোষণা করা হয়, ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমাও অনুষ্ঠিত হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্ব ৮ জানুয়ারি শুরু হয়ে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ১০ জানুয়ারি। দ্বিতীয় পর্ব ১৫ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি।

মাশওয়ারায় আলমি শুরাসদস্য ছাড়া কাকরাইল ও রায়বেন্ডের মুরব্বি এবং শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বিভিন্ন দেশের মারকাজের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব আমবয়ানের মধ্য দিয়ে। ভারতীয় মওলানা আহম্মেদ ইব্রাহীম দেওলা আমবয়ান শুরু করেন। কনকনে শীত ও হিমেল বাতাসে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) প্রথম দিন থেকেই ইজতেমায় যোগ দেন মুসল্লিরা। ভোরে ফজরের নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদ আলমের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এই পর্বের ইজতেমা। বেলা দেড়টায় জুমার নামাজ পড়ান মাওলানা জোবায়ের।

শনিবার বাদ ফজর ভারতের মাওলানা আবদুর রহমানের বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল মতিন। বাদ জোহর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা। তা বাংলায় ভাষান্তর করেন মাওলানা মো. নূর-উর-রহমান। বাদ আসর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা জোহায়েরুল হাসান। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা। 

আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বাদ ফজর বয়ান করেন মাওলানা জিয়াউল হক। আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ সমাপনী বয়ান করেন মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা। এরপর কাকরাইল জামে মসজিদের খতিব ও তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ আখেরি মোনাজাত ধরেন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো বাংলায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতটি বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। 

ইজতেমার মোনাজাতে যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি নানা বিড়ম্বনাকে উপেক্ষা করে ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে সকালেই টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ছুটে আসেন। সকাল ৯টার আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নেন মুসল্লিরা। এসময় ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, বিমানবন্দর এলাকা থেকে মোনাজাতে অংশ নেন লাখ লাখ মানুষ। 

আখেরি মোনাজাতে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দু'হাত তুলে মুসলিম উম্মার ঐক্য, সুখ ও সমৃদ্ধি চান মুসল্লিরা। মানব জাতির শান্তি এবং কল্যাণ কামনা ছাড়াও দেশের রাজনৈতিক বিভেদ দূর করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন তারা। আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়া মানুষ একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করেন। শুরু হয় হুড়োহুড়ি এবং আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। এতে টঙ্গীর আশে-পাশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় জনজট ও যানজট। ফলে পায়ে হেঁটেই রওনা দেয় মুসুল্লিরা।

আগামী ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড