২০ দলের ১৩ দফা দাবিতে কি রয়েছে?
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে ২০ দলীয় জোট বলছে, শুধু পক্ষপাত দুষ্ট কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে ভোটের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে হবে। বিতর্কিতদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি করতে হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রসান ও পুলিশের শ’খানেক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি করলেও ২০ দলীয় জোট তা চাইছে না।
জেটের পক্ষ থেকে পক্ষপাত দুষ্ট কর্মকর্তাদের ভোটের দায়িত্ব থেকে বিরত ও স্থানীয় সাংসদদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কর্মকর্তাদের অন্য জেলায় বদলির দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার (২৫ নভেম্বর) বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৩ দফা দাবি নিয়ে লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছে।
ইতোমধ্যে ঐক্যফ্রন্ট ইসিতে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে নালিশ করে ইসিতে; পাল্টা ৮ দফা দাবির নালিশ নিয়ে আসে ১৪ দলীয় জোট।
এবার ২০ দলীয় জোট এলো ১৩ দফা নালিশ নিয়ে। বৈঠক শেষে এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বলেন, “ ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি তালিকা ইসির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা তা চাই না, এসব কর্মকর্তাদের ক্ষতি হোকে বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা চাই, খুব বেশি পক্ষপাত দুষ্ট কর্মকর্তাদের ভোটের দায়িত্ব থেকে যেন বিরত রাখা হয়।”
তিনি জানান, বিশেষ করে ভোটে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার যাদের সঙ্গে স্থানীয় সাংসদদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাদের অন্য জেলায় বদলি করার দাবি জানানো হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরও কর্মস্থল পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এখনও দৃশ্যমানভাবে সুষ্ঠু ভোটের ক্ষেত্র তৈরি হয় নি। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মামলা নিয়ে হয়রানি না করার বিষয়ে পুলিশকে ইসি যে নির্দেশ দিয়েছে তা কার্যকর হয়নি দাবি করে ২০ দলীয় জোটের প্রতিনিধি অলি আহমেদ।
ভোটকে সামনে রেখে ‘গায়েবি মামলা বা অজ্ঞাত আসামিসহ মামলাগুলো’ ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘সাসপেন্ড’ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে জোট।
সার্বিক দাবির বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে ‘বিবেচনার আশ্বাস’ দিয়েছে বলে জানান অলি আহমেদ।
১৩ দাবি ২০ দলীয় জোটের
১.নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি।
২. গেল ১ বছরের ভোটের দায়িত্বে থেকে স্থানীয় নির্বাচনে রাতে ব্যালট পেপার কেটেছে তাদের ভোটের দায়িত্বে নয়।
৩. নেতাকর্মীদের মামলা-গ্রেফতার চলছে; ভোটের আগে বিএনপির এজেন্টদেরও মামলা দিয়ে গ্রেফতারের শঙ্কা।
৪. আচরণবিধি প্রতিপালনে ইসিকে কঠোর হতে হবে।
৫. নারায়ণগঞ্জ এসপি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিয়ে শঙ্কা।
৬. সরকারি রেডিও ও বিটিভি ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে; বেসরকারি গণমাধ্যমে আগাম ফল প্রচার নয়।
৭. গণমাধ্যমকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে অবাধ সুযোগ।
৮. পুলিশের মতো সশস্ত্রবাহিনীকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া।
৯. সেনা মোতায়েন ও টহল ১৫ ডিসেম্বর থেক।
১০. নির্বাহী হাকিম নিয়োগ ১১ ডিসেম্বর থেকে।
১১. ইভিএম ব্যবহার করা উচিত নয়, পুনর্বিবেচনার আহ্বান।
১২. ভোটের সময় নিবন্ধিত দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দুই জন স্পেশাল ব্রান্সের অস্ত্রধারী দুই জন নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া এবং
১৩. ইসি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় থাকবে। ক্ষমতা সীমিত হলেও বিরোধী দলের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার দাবি।
সিইসির সঙ্গে হাফিজের বৈঠক।
নিউজওয়ান২৪/এএস
- কেন ‘উল্টে’ গেলেন এরশাদ
- বিএনপিতে যে পদ পাচ্ছেন তারেক স্ত্রী জোবাইদা
- এরশাদের এ কেমন অসুখ?
- এরশাদের ‘তেলেসমাতি খেইল’
- আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ, বেকায়দায় ঐক্যফ্রন্ট
- হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মাহি
- কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?
- বিএনপির মনোনয়ন চিঠি
একই আসনে স্বামী-স্ত্রী! - ফের সক্রিয় হচ্ছেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা?
- ড. কামালের ‘ডাইরেক্ট’ হুমকি
- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ড. কামাল
- এরশাদের মেয়ে মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা
- যেসব তথ্য গোপন করলেন এরশাদ
- ভিডিও কলে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন, কী কথা হয় তাদের? (ভিডিও)
- স্বামী তন্ময়ের সঙ্গে মাঠে স্ত্রী, ভোট চাইলেন নৌকায়! ভিডিও