ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৯ আগস্ট ২০১৯  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মিনায় লাখ লাখ ধর্ম প্রাণ মুসলমানের সুমধুর কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে- ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুল্ক্’। 

অর্থ:‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’

সারা বিশ্বের বিশ লাখের বেশি মুসলমান বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর নিজ নিজ আবাস এবং মসজিদুল হারাম থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এর মাধ্যমে শুরু হয় মুসলমানদের অন্যতম ফরজ ইবাদত পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। 

মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের শুরু হয়; যা সমাপ্ত হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর মেরে। হজ পালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। 

আজ সারাদিন মিনায় অবস্থান করে রাতে ও প্রত্যুষে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাত্রা করবেন তারা। আগস্টের ১০ তারিখে আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেয়া হবে। হজের খুতবা শেষে জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন হাজিরা। সেদিন সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন।

মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সারারাত অবস্থান করার পর শয়তানের স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নেবেন হাজিরা। ওইদিন ফজরের নামাজ শেষে বড়ো জামারায় (প্রতীকী বড়ো শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করার জন্য মিনায় যাবেন তারা। পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি দেবেন হাজিরা। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করার দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এদিনের নাম—ইয়ামুল আরাফা।

১০ জিলহজ মিনায় ফেরার পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মাঝে একটি স্তম্ভ হজের আনুষ্ঠানিকতা।

নিউজওয়ান২৪.কম/আহনাফ