ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

সালমানের ফিগার পেতে ঘোড়ার ইঞ্জেকশন, অতঃপর...

শোবিজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ২১ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঘোড়াকে দেওয়া হয় এমন ইঞ্জেকশন নিচ্ছিলেন এক যুবক। জানা গেছে, বলিউড সুপার স্টার সালমান খানের মতো ফিগার বানানোর জন্য তিনি এমন ‘কম্ম’ করছিলেন। তবে সালমানের ফিগার না পেলেও ঘোড়ার মতো তেজী আর শক্তিশালী পশুর জন্য তৈরি ওই ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার অবস্থা এখন সঙ্গীন।

হিন্দি দৈনিক জাগরন.কম জানায়, পশ্চিম দিল্লির নজফগর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবককে স্থানীয় গঙ্গারাম হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান তার অবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছিল যে মৃত্যুও ঘটতে পারতো।

পত্রিকা, হাসপাতাল বা পুলিশ ওই যুবকের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে। শুধু এটুকু জানা গেছে, তার পিতা দিল্লি পুলিশে কর্মরত।

প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ২১ বছর বয়সী ওই যুবকের এমন কাণ্ডের খোঁজ তখনি পাওয়া যায় যখন তার মধ্যে অস্বাভাবিকতা আর শারীরিক জটিলতা চরম রূপ নেয়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, সামনে পরীক্ষা এসে পড়ায় সে ঘোড়ার-ইঞ্জেকশন নেওয়া বন্ধ রাখে আপাতত। কিন্তু এরপর দেখা দিতে থাকে জটিলতা। পড়তে বসলেই যেন শরীর ভেঙ্গে তার ঘুম চলে আসতো, সারাদিন শুয়ে থাকতে মন চাইতো। অনেক চেষ্টা করেও নিজের মধ্যে জেঁকে বসা আলস্য দূর করতে পারছিল না। 

ইঞ্জেকশন নেওয়া বন্ধ করার পর তার মানসিক স্থিতিও বেসামাল হয়ে পড়ে। খিটখিটে মেজাজ, তুচ্ছ বিষয়ে রেগে আগুন হওয়া- এসব চলতে থাকে। শুরুতে পরিবারের কেউ কিছু বুঝতে পারছিল না। 

ছাত্রের বাবা-মা অস্থির হয়ে পড়েন পুত্রের এবং বিধ আচরণে। শেষে একদিন তাকে চেপে ধরেন তারা। ছেলেটি নিজেও অসহায় বোধ করছিল। এবার মা-বাবার কাছে সব খুলে বলে। দেরি না করে তারা তাকে নিয়ে ছুট দেন হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছেলেটি খুবই মেধাবী এবং পড়াশোনায়ও ভাল ছিল। 

ছেলেটি জানিয়েছে, বডি বিল্ডিংয়ের প্রতি তার ঝোঁক ছিল। তার ইচ্ছা ছিল সালমানের মতো শরীর-স্বাস্থ্য। তাই স্থানীয় জিম-এ ভর্তিও হয়। সেখানে এক প্রশিক্ষক তাকে ওই ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেয়। কোচের কথা বেদবাক্য মনে করে কোনো তথ্য যাচাই না করেই সে ওই ইঞ্জেকশন নেওয়া শুরু করে। 

এর ফলে দেখা যায় যে দীর্ঘসময় ধরে ব্যায়ামের কসরত করতে পারছে। ফলে তার শরীর অন্যদের তুলনায় ফুলে ফেঁপে ওঠে। স্থানীয় কয়েকটি প্রতিযোগীতায় পুরস্কারও জোটে। কিন্তু ক্ষতিটাও হয় ভয়াবহ। এখন তাকে দীর্ঘকাল চিকিৎসা নিয়ে যেতে হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এএমপি৫ নামের ওই কম্পাউন্ড স্টেরয়েডের চেয়েও ক্ষতিকর। কিডনির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও বিকল করে দিতে পারে এর আসর।    

বিশেষজ্ঞদের মতে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করনেওয়ালা ঘোড়াকে ওই ঔষধ দেওয়া হয় শারীরিকভাবে চাঙ্গা রাখার জন্য। তবে বিশেষ প্রয়োজনে কোথাও কোথাও এই বস্তুটি মানুষের ওপরও প্রয়োগ করে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে সেটা ইঞ্জেকশন আকারে নয়, খাদ্যের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে দেওয়া হয়। তবে মানবদেহে ক্ষতির সম্ভাবনা কিন্তু থেকেই যায়।

নিউজওয়ান২৪/এএস