ঢাকা, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

সারাহর দান করা চোখে পৃথিবী দেখছেন ফেরদৌস ও সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

মোহাম্মদ সুজন ও ফেরদৌস আখতার

মোহাম্মদ সুজন ও ফেরদৌস আখতার


মৃত্যুর আগে নিজের কিডনি আর চোখ দান করে যাওয়া সারাহ ইসলামের চোখে এখন পৃথিবীর আলো দেখতে পাচ্ছেন এক নারী ও এক পুরুষ। তারা সারাহ ইসলামের কর্নিয়ায় চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন।

রোববার সকালে সারাহ ইসলামের দুটি কর্নিয়া বসানো রোগী শিক্ষিকা ফেরদৌস আখতার ও মোহাম্মদ সুজনের চোখ পরীক্ষা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এ সময় উপাচার্য জানান, গত ১৮ জানুয়ারি রাতে সারাহ ইসলামের দুটি কিডনি অন্য দু'জন রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে তার দুটি কর্নিয়া দুইজনের চোখে বসানো হয়েছে। তার অঙ্গদানের মাধ্যমে চারজন মানুষ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। এটি দেশের চিকিৎসাসেবায় মাইলফলক।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৬ সালে ফেরদৌস আখতারের ডান চোখে ভাইরাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দৃষ্টিশক্তি হারান। পরে সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমানের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। সাত বছর আগে কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক। তবে কর্নিয়া সংকটে এটি এতদিন করা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, কর্নিয়া জোগাড় করতে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রেখেছিলেন এ শিক্ষিকা। সারাহর কর্নিয়া দানের সম্মতি পেয়েই চিকিৎসক শীষ রহমান ফোন করে ফেরদৌসকে আখতারকে ঢাকায় আসতে বলেন। এরপর তাঁর ডান চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। ডান চোখে এখন স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাচ্ছেন তিনি।

এদিকে, মোহাম্মদ সুজনের চোখের অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাশ। মোহাম্মদ সুজন এখন ভালো আছেন।

প্রসঙ্গত, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২০ বছরের তরুণী ফাইন আর্টসের মেধাবী শিক্ষার্থী সারাহ ইসলাম। তিনি তার অঙ্গ দান করে যান। 

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএ

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত