ঢাকা, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

সমুদ্র সৈকতে অবৈধ হোটেল-মোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

দেশের সর্বোচ্চ আদালত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় হোটেল-মোটেলসহ অবৈধ সব স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক রায়ে এ আদেশ দেয়া হয়। 

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সমুদ্র তীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সরকারকে নীতিমালা তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে নতুন করে কাউকে সমুদ্র তীরে লিজ না দেয়া হয় সে বিষয়ে সরকারকে নজর রাখতে হবে।

রায়ের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এ রায় একটি মাইলফলক, অবশ্যই তা বাস্তবায়ন করা হবে। এ রায় মানা না হলে, সরকার আদালত অবমাননার মামলা করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।

তবে এ রায় অসন্তোষ প্রকাশ করে হোটেল মালিকদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর বলছেন, এতে পর্যটক কমে যাবে কক্সবাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারের পর্যটন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যার সৌন্দর্যে মুগ্ধ দেশি বিদেশি পর্যটক। এই সমুদ্র সৈকতের জিলেনজা মৌঝায় গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি থ্রি স্টার ও ফাইভ স্টার মানের হোটেল। রয়েছে আরো অসংখ্য ছোটবড় হোটেল মোটেল। ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু সেই গেজেটকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই এলাকায় গড়ে তোলা হয় একের পর এক স্থাপনা।

এই নিয়ে ৫টি রিটের চূড়ান্ত রিভিউয়ের রায়ে ১৯৯৯ সালের পর নেয়া হোটেল সাইমন, সি গালসহ বড় বড় বেশ কিছু হোটেলের লিজ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ে গুড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে এসব স্থাপনা।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরএজে

আরও পড়ুন
আইন আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত