‘শো কজ’ পাওয়া মোকাব্বির এখন গণফোরামের বড় পদে

নিজ দল গণফোরামের অনুমতি না নিয়ে দলীয় প্যাড ব্যবহার করে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে গত ২ এপ্রিল জাতীয় সংসদে যান গণফোরামের নেতা এমপি মোকাব্বির খান। এর দুইদিন পর গত ৪ এপ্রিল ড. কামালের মতিঝিলের চেম্বারে দোয়া চাইতে যান গণফোরাম ও ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা। ঐক্যফ্রন্টের তখনকার অবস্থান ছিল সংসদে না যাওয়ার পক্ষে। কিন্তু দলীয় ও জোটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোকাব্বির ‘অপরাধী’ হয়ে যান। এমন পটভূমিতে তখন ড. কামাল হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে মোকাব্বিরকে তার অফিস থেকে ‘বহিষ্কার’ হতে বলেছিলেন। কামাল এতটাই উত্তেজিত ছিলেন যে তখন তিনি তার পিএসসহ কয়েকজনকে বলেন, ‘ওকে (মোকাব্বিরকে) ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দাও। ফার্দার (ভবিষ্যতে) যেন এখানে আর না দেখি।’

গণফোরাম বস সেদিন আরো বলেছিলেন, মোকাব্বির, আপনার সঙ্গে কোনো কথা নেই, আপনি আমাদের নাম ইউজ (ব্যবহার) করে সংসদে গেছেন, আমাদের ছোট করেছেন, ব্ল্যাকমেইল করেছেন। আপনি চলে যান।

এরপর মোকাব্বির খানকে বহিষ্কার করার লক্ষ্য নিয়ে শোকজ করা হয়। তবে শেষতক তাকে বহিষ্কার না করে নতুন কমিটিতে গণফোরাম সভাপতি পরিষদের সদস্য করা হয়। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি পরিষদের সদস্য হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন দলের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

তবে এমন ঘটনার বিষয়ে কামাল হোসেনের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই।

তবে দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, একজনকে (সুলতান মনসুর) বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি যদি চান দলে ফিরতে তাহলে তিনি আবেদন করতে পারেন। আরেকজনকে আমরা শপথ নেয়ার জন্য শোকজ দিয়েছিলাম। তিনি আমাদেরকে উত্তর দিয়েছেন। সে উত্তরে আমরা সন্তুষ্ট।

গণ ফোরামের নয়া কমিটিতে মোকাব্বির ছাড়াও সভাপতি পরিষদে রয়েছেন এ এইচ এম খালেকুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আমিন।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে