ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২১, ১২ এপ্রিল ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ রোধে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প কলকারখানা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে বুধবার থেকে এক সপ্তাহ শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ  রাখা হতে পারে। কারণ এ সময়ে ব্যাংক বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশে। তবে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

নির্দেশনা জারির পর শেয়ারবাজারের লেনদেনের বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারও খোলা থাকবে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেনও বন্ধ থাকবে।

এদিকে ব্যাংক পুরোপুরি বন্ধ থাকবে কিনা সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈঠক বসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, পোশাক কারখানা চালু থাকলে ঋণপত্র খোলাসহ অন্য কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে কারখানা চলবে না। এ জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। নিশ্চয়ই এ নিয়ে একটা ব্যাখ্যা আসবে। অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে, তার মধ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এমনিতেই তিন দিন বন্ধ থাকতো ব্যাংক। তার সঙ্গে বাড়তি কয়েক দিনের জন্য ব্যাংক বন্ধের সরকারি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ (সোমবার) থেকে শেয়ারবাজারে আড়াই ঘণ্টার লেনদেন চলছে। মঙ্গলবারও আড়াই ঘণ্টা লেনদেন চলবে। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ ব্যাংক বন্ধের কারণে শেয়ারবাজারেও লেনদেন বন্ধ থাকবে। যেটা সরকারি নির্দেশনায় আছে।

এর আগে গত শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সময়সংবাদকে টেলিফোনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, করোনা ঠেকাতে গত ২৯ মার্চ থেকেই মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। ৪ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমেও জনমত তৈরি, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটছে, কঠোর লকডাউনের মাধ্যমেই এটি ঠেকাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কঠোর লকডাউনের সময় জরুরি সেবা ছাড়া সকল অফিস-আদালত-কলকারখানা সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।

অর্থ-কড়ি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত