ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

লাখো প্রাণহানি ঘটাতে পারে এএমআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:১৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) কারণে ভবিষ্যতে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে এ জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও গবেষণার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ল্যাক্সিংটন হোটেলে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এমন আশঙ্কার কথা জানান সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যাটি সংকটে পরিণত হতে পারে। এটি সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে। এই সংকট থেকে বাঁচতে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সময়ের সঙ্গে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস, প্যারাসাইটগুলো যখন নিজের ভেতরে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এদের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রয়োগেও কোনো কাজ হয় না, তখন সেই অবস্থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বলে।

এএমআর-এর কারণে ইনফেকশন চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বেড়ে যায় মৃত্যুর ঝুঁকি। অন্য অনেক কারণের পাশাপাশি অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধের অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহারে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়।

এ ইস্যুতে আরো বেশি কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইস্যুটিকে সবার নজরে আনার জন্য গ্লোবাল লিডারশিপ গ্রুপ থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটা স্পষ্ট যে এই ইস্যুতে আরো বেশি কিছু করা দরকার। কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো ভালভাবে চিহ্নিত হয়েছে। আমাদের সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

এএমআর ঝুঁকি মোকাবেলায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০টি দেশের এএমআর নিয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য অর্থপূর্ণ সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় এএমআর গুরুত্ব পাওয়া উচিত।

বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়েও এএমআর মোকাবেলায় শক্তিশালী বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। 

নিউজওয়ান২৪.কম/রাজ

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত