ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

রংপুরের আলোচিত রথীশ চন্দ্র হত্যা মামলার চার্জ গঠন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২১ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি


রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা (৫৮) হত্যা মামলার চার্জ গঠন হয়েছে।

রোববার চার্জ গঠনের নির্ধারিত দিনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)আব্দুল মালেক। শুনানি শেষে চার্জ গঠনের আদেশ দেন আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক। একই সঙ্গে তিনি আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

রোববার দুপুরে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ওই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এ মামলার অভিযুক্ত আসামি নিহত বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ও তার প্রেমিক তাজহাট স্কুলের শিক্ষক কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।

ওই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গত ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমীন মুক্তার আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আল-আমিন। মামলায় স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ও প্রেমিক একই স্কুলের শিক্ষক কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। পরে শুনানি শেষে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন আদালত।

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের জেরে আইনজীবী রথীশ চন্দ্র বাবু সোনা খুনের শিকার হন। আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দু’জনেই হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঠাণ্ডা মাথায় প্রেমিকযুগল তাদের পথের কাটা সরিয়ে দিতে দুই মাস ধরে বাবু সোনাকে খুনের ছক আঁকে। বাবু সোনা ছিলেন, রংপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা, আওয়ামীলীগ জেলা কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক, রংপুরের আলোচিত হত্যাকাণ্ড জাপানি নাগরিক হোশিও কোনি ও মাজারের খাদেম রহমাত আলী হত্যা মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী।

গত ২৯ মার্চ ও রাতে খুনের পর ওই আলমিরায় লাশ বাড়ি থেকে বহন করে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন তারা।

বাবু সোনা নিখোঁজের পর ৩১ মার্চ কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক সুবল। মামলার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাবু সোনার স্ত্রী দীপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন এবং মরদেহের অবস্থান সম্পর্কে জানান।

এ মামলার ৮০০ পৃষ্ঠার বেশি নথিপত্র আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। ৫ মাস ১২ দিনের মাথায় চার্জশিট গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার চার্জশীট আদালতে দেয়া হয় হলো। মামলায় মোট ৪০জন সাক্ষী রয়েছে।

নিউজওয়ান২৪/এমএম

আরও পড়ুন
আইন আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত