যে কারণে ক্ষুব্ধ ইউক্রেনিরা কমেডিয়ানকে প্রেসিডেন্ট করলো
অসম্পাদিত ডেস্ক
কৌতুক অভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি -ফাইল ফটো
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী কৌতুকাভিনেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তার বিপুল ভোটের এই জয় ভিন্ন মাত্রার এক পরিবেশ তৈরি করেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে। অনেকে এমনকি নির্বাচিত খোদ জেলেনস্কি পর্যন্ত প্রস্তুত ছিলেন না এমন ফলাফলের জন্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, দেশের পেশাদার রাজনীতিকদের কাণ্ডকলাপে বিরক্ত হয়ে জনগণ এই রায় দিয়েছে। এটা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ধারার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
গত ৩১ মার্চ প্রথম পর্যায়ের ভোট গ্রহণের পটভূমিতে আল জাজিরায় প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, ইউক্রেন এখন অন্য বিদ্রোহের প্রান্তে। তবে এবার ইউক্রেনীয়রা বিপ্লবের জন্য রাস্তায় নেমে তাদের বিরাগ প্রকাশে করবে না। বরং, মনে হচ্ছে তারা রাজনৈতিক অভিজাতদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোটের বুথগুলিতে নিরব বিদ্রোহ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আল জাজিরার এই বিশ্লেষণের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি দেখা গেল গতকাল অর্থাৎ ২১ এপ্রিলের ভোটের ফলাফলে। বরঞ্চ জনগণ মনে হচ্ছে আবেগের জোয়ারে ভেসে বিপুল সংখ্যায় ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন শুধুমাত্র জেলেনস্কিকে ভোট দেওয়ার জন্য। তারা চেয়েছিল পেত্রো পোরশেঙ্কোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে।
রাজনীতির ময়দানে নয়া চিড়িয়াই বলা যায় জেলেনস্কিকে। মাত্র ৪১ বছর বয়সী জেলেনস্কি দেশটির বিদ্রুপাত্মক টেলিভিশন সিরিজ ‘সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল’-এ অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এই সিরিজে তার চরিত্রটি দরিদ্র অথচ সৎ একজন শিক্ষকের যে আকস্মিকভাবে দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে যায়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন তিনি তার অভিনীত চরিত্রের গুণাবলী ধারণ করতে চান প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
দেশটিতে ক্রমশ জীবনমানের নিম্নগতি আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি গুরুতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল নির্বাচনী পটভূমিতে। নিত্যপণ্যের ঊর্দ্ধগতি রোধে দুর্নীতিকে সমূলে উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, বিবিসি জানায়, রবিবার রান-অফ ভোটের ৯০ শতাংশেরও বেশি ব্যালট গণনার পর দেখা যায় জেলেনস্কি পেয়েছেন ৭৩ শতাংশ ভোট। অপরদিকে, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেনকো মাত্র ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
তবে ক্ষমতাসীন পোরোশেনকো ভোটের পর প্রথম বুথ ফেরত জরিপ প্রকাশিত হওয়ার পরই পরাজয় মেনে নেন। অবশ্য রাজনীতি ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার রাতে জেলেনস্কিকে বিজয়ী ঘোষণার পর উদ্বেলিত সমর্থকদের হবু প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি কখনো তোমাদের নিচু করবো না। দাপ্তরিকভাবে আমি এখনও প্রেসিডেন্ট নই, কিন্তু ইউক্রেনের একজন নাগরিক হিসেবে আমি সোভিয়েত পরবর্তী সব রাষ্ট্রকে আমাদের দিকে তাকাতে বলতে পারি। সবকিছুই সম্ভব!
দেশটির পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াইরত রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ‘পুনরুজ্জীবিত’ করতে পারেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
বিবিসির মতে, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারার বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করেছেন জেলেনস্কি। এই কায়দায় তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। তাকে কোনও সমাবেশও করতে দেখা যায়নি, হাতে গোনা কয়েকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মাত্র।
প্রথম পর্বের ভোটে জেলেনস্কি ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা পোরোশেনকো পান ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরএ
- সংবাদ পাঠিকার এ কেমন পোশাক!
- পৃথিবীর বিখ্যাত হোটেল- যেখানে খেতে পয়সা লাগে না!
- জুজুর ভয়ের ফেরিওয়ালা বনাম শক্তহাতে লাগাম ধরা এক সারথী
- ‘পিরিয়ড’কে লজ্জা নয়, স্বাভাবিক ভাবুন
- বই উৎসব `আলোর উৎসব`
- পোস্টার, লিফলেট ও মেমোতে ‘বিসমিল্লাহ’, ‘আল্লাহু আকবার’ প্রসঙ্গে..
- স্মৃতিতে ‘৭১
- সেক্স রোবটদের মাঝে আসবে ভালোবাসার অনুভূতি!
- নভেম্বর রেইন
- নাসিমা খান মন্টির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা নাঈমুল ইসলামের
- ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স: যে দক্ষতা আপনাকে নিয়ে যাবে বহুদূর!
- কায়নাতকে আপনাদের প্রার্থণায় রাখবেন প্লিজ...
- তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে...
- মানসিক করোনাযাত্রা
- বাংলাদেশ যেভাবে পেলো সেন্ট মার্টিন