ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন আজ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ৬ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। চলতি বছর গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গতিপথ নির্ধারিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণাও ছিল জমজমাট।

কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ কক্ষ সিনেটের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দুটি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এখন ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের। তারা সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থার একটি গণভোট হিসেবে।

যদি এই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হারে তাহলে কংগ্রেসের ওই দুটি কক্ষই চলে যাবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের হাতে। তাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার ক্ষমতার মেয়াদের বাকি দুটি বছর খুব জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। কারণ, এতে তিনি নিজে থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

এদিকে প্রচারণায় এক দল আরেক দলকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছে। এমনকি প্রচারণায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জরিপে ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে আছেন। তবে সিনেটে রিপাবলিকানরা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারেন। আগের চেয়ে এবার বেশি ভোট পড়ার আশা করা হচ্ছে। ৫০০ কোটি ডলারের নির্বাচনে জয়ের আশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট দলের শীর্ষ নেতা ন্যান্সি পেলোসি।

এটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নয়। তারপরও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার বিষয়টি এতে উঠে আসবে। এতে তার দুই বছরের কর্মকাণ্ড এতে প্রভাব ফেলতে পারে। এরই মধ্যে অনেকেই আগাম ভোট দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ৪০ ভাগ ভোট আগেই দেয়া হয়েছিল। নির্বাচনে মূলত রিপাবলিকানদের হাতি এবং ডেমোক্র্যাটদের গাঁধার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রতি চার বছর পরপর হয়। তবে কংগ্রেসের দুই কক্ষে (উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) ভোট হয় প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মধ্যবর্তী সময়ে। প্রতিটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের (৪৩৫টি) সবগুলো আসনে ভোট হয়। কারণ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বা কংগ্রেসম্যানদের মেয়াদ দুই বছর। সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে এবার ৩৫টিতে ভোট হবে। সিনেটরদের মেয়াদ ৬ বছর। ৩৬ টি রাজ্যের গভর্ণর পদে নির্বাচন হবে। নতুন কংগ্রেসের অধিবেশন বসবে আগামী জানুয়ারিতে।

বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে ১৯৩টিতে ডেমোক্র্যাট এবং ২৩৫টি রিপাবলিকানদের রয়েছে। আর সিনেটে ৪৯ ডেমোক্র্যাট এবং ৫১টি রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সিনেটে ৫১টি এবং প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮টি আসনে জয় পেতে হবে। নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাটরা সাধারণত জিতেন এমন আসন ১৮৭টি। ডেমোক্র্যাট ভাবাপন্ন ১৫টি এবং ডেমোক্র্যাটরা জিততে পারেন এমন আসন ৫টি। জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৩১টিতে। রিপাবলিকানরা জিতেন এমন আসন ১৫৩টি। রিপাবলিকান ভাবাপন্ন ২২ এবং রিপাবলিকানরা জিততে পারেন ২২টি আসনেই।

এদিকে সিনেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ৬টিতে। ডেমোক্র্যাটদের ২৩টি এবং রিপাবলিকানদের ৪২টিতে নির্বাচন হচ্ছে না। ৩৫টির মধ্যে ১৪টিতে ডেমোক্র্যাটরা জিতে থাকেন, ৫টিতে জিততে পারেন এবং ডেমোক্র্যাট ভাবাপন্ন ৩টি। রিপাবলিকানরা ৫টিতে জয় পেয়ে থাকেন। রিপাবলিকান ভাবাপন্ন মাত্র দু’টি। ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের জরিপে দেখা যায়, প্রতিনিধি পরিষদে ৫০ ভাগ নিবন্ধিত ভোটার ডেমোক্র্যাট এবং ৪৩ ভাগ ভোটার রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমর্থন করেন।

আরেকটি জরিপে দেখা যায়, ডেমোক্র্যাটদের প্রতি ৫১ ভাগ এবং রিপাবলিকানদের প্রতি ৪৪ ভাগ সমর্থন আছে। যদিও ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে কমেছে। অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান জনপ্রিয় হতে পারে। সিনেটে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত