ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

মশা নয় মূলত এরাই দেশের প্রধান শত্রু

অসম্পাদিত ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ২৮ জুলাই ২০১৯  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

৩দিন আগে ১০০ গ্রামের একটি মশা প্রতিষেধক ক্রিম ওডোমস কিনেছিলাম ২৪০টাকা দিয়ে। শনিবার গুলশান-১ এর সেই ‘তামান্নাসহ’ অন্য সব দোকানে ৫০ গ্রামের একটি ক্রিমের দাম ২২০ টাকা। সে হিসেবে ১০০ গ্রামের একটি ক্রিমের দাম ৪৪০টাকা হয়।

৩ দিনের ব্যবধানে এই বাড়তি দাম কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বদমাইশ দোকানদারগণ বললেন, ‘আপনের ইচ্ছা হলে নেন, না হলে না নেন।’

সারা দেশে যখন ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়ে শত শত মানুষ হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর পাচ্ছি, শিশুদের নিয়ে চিন্তায়-ভয়ে অস্থির আছি সারা দেশের মানুষ- দেশের এই বিপদের সময় পাশের দেশ ভারত থেকে আমদানি করা (বেশির ভাগ চোরাই পথে) মশা প্রতিষেধক একটি ক্রিমের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে বিক্রি করছে একটি অসাধু-বদমাইশ ওষুধ বিক্রেতা চক্র। অথচ- এসময় লাভ কম করে এর দাম কমিয়ে দেয়া উচিত ছিল।

অন্যদিকে, ডেঙ্গু পরীক্ষায় অনেক হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ফি। যা অন্যায় এবং জাতির সঙ্গে বেইমানি।

এমনকি ডেঙ্গুতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর ২২ ঘণ্টা হাসপাতালের চিকিৎসা বিল করা হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। অথচ, তার চিকিৎসা করা হয়েছে কিছু প্যারাসিটামল ও স্যালাইন দিয়ে। দেশের নামি একটি হাসপাতাল এই প্রতারণা করেছে।

আমি নিজেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলাম ৫দিন। প্লাটিলেট নেয়া লেগেছে। এখনো নানা সমস্যায় ভুগছি।

সারা দেশের মানুষ যখন ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে, হাসপাতালে জায়গা পাচ্ছে না, এই বিপদের সময় যারা এটিকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে নিজেরা টাকা কামানোর ধান্ধায় নেমেছে- মূলতা তারাই দেশ ও জাতির প্রধান শত্রু।

বিচক্ষণ সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ, আপনি শক্ত পদক্ষেপ না নিলে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা যাবে না। দয়া করে পরিস্থি অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। এখনই। দেশের বাইরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে এর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ব্যবস্থাদাতি আনুন। কারণ, সময় ফুরিয়ে গেলে- সেই প্রাগৈতিহাসিক কলেরার মতো ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ যে নেবে না, তা নিশ্চয়তা দিয়ে কেউই বলতে পারবেন না।

ডেঙ্গু নিয়ে যারা মশকরা করছেন- দোয়া করি, তারা যেন এই যন্ত্রণার পরশ পান।

লেখক: আসাদুল হক খোকন, কবি ও সাংবাদিক

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএসকে 

আরও পড়ুন
অসম্পাদিত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত