ঢাকা, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

ভূত আসলে কোন ধর্মের? সেলিম ওসমানের প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৩ নভেম্বর ২০১৮  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এক অদ্ভুদ কারণে বন্ধ ছিল ‘মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং’ নামে একটি কারখানা। আর সেই কারণটি হলো প্রতিষ্ঠানের সবার মাঝে ভূতের ভয়। কিন্তু ‍এ ভয় দূর হয় বিকেএমইএ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপে।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ‘মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং’ কারখানায় যান সেলিম ওসমান। এ সময় শিল্পপুলিশ, ফতুল্লা থানা পুলিশ প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে ভূত দেখার রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়েছে।

এর আগে শ্রমিকদের আবদারের কারণে জনৈক এর হুজুরের মাধ্যমে ভূত তাড়ানোর ব্যস্থা করা হয়। আর এ হুজুরের মাধ্যমেই ভূতের রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়েছিলো। কেননা হুজুরের বলে দেওয়া ৭টি মাদ্রাসা থেকে খাঁসি নিতে আসা একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী কাছ থেকে জানা যায়, যিনি এই কারখানার ভূত তাড়িয়েছেন তিনি মূলত তাবিজ কবজ, ঝারফুক করে থাকেন। এর আগে আরো দুটি গার্মেন্টের ভেতরে আছড় করা ভূত একই হুজুরের মাধ্যমে তাড়ানো হয়েছে। আর সেখানে গরু জবাই করে ভূত তাড়ানো হয়েছিল।

গার্মেন্টস কারখানার ভেতরে ভূতের আছড় হওয়া এবং ভূত তাড়ানোর জন্য একই হুজুরের আগমনের বিষয়টি সকলের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে খতিয়ে দেখতে শিল্প পুলিশ ও ফতুল্লা থানা পুলিশকে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করতে বলেন এমপি সেলিম ওসমান।

পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সকল শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলাম ধর্মে ভূত বিশ্বাস করেনা। কোন ধর্মেই ভূত বিশ্বাস করে না। এমনকি বিজ্ঞানেও ভূত বিশ্বাস করে না। এখানে খাসি জবাই দিয়ে ভূত তাড়ানো হয়েছে। কিন্তু খাসিগুলো কী ভূত খেয়েছে? এর আগে অন্য কারখানায় গরু জবাই করে ভূত তাড়ানো হয়েছে। মালিক মুসলিম হলে ভূতে গরু চায় আর হিন্দু হলে খাসি চায় তাহলে ভূত আসলে কোন ধর্মের?

শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি মহল নানাভাবে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন রকম উস্কানি দিয়ে গার্মেন্টস সেক্টর অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। আপনারা কোন প্রকার গুজব কিংবা কোন উস্কানির ফাঁদে পা দিবেন না। মনে রাখবেন আপনারদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সব থেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। আপনারা হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কথা চিন্তা করে নূন্যতম বেতন যেটা ৫৩০০ টাকা ছিল সেটা বৃদ্ধি করে ৮হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই সেটা কার্যকর করা হবে। অনেক মালিক নির্ধারিত নতুন বেতনের ব্যয় সামঞ্জস্য আনার জন্য ৩০শতাংশ শ্রমিক ছাটায়ের চিন্তা ভাবনা করছেন। কিন্তু আমরা কোন মালিককে কোন কারন ছাড়া শ্রমিক ছাটাই করতে দিবো না। আপনারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। উনি যেন আগামীতে আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। উনি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি আপনাদের বেতন ভাতা সুযোগ সুবিধাও আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে।

নিউজওয়ান২৪/এএস

আরও পড়ুন
স্বদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত