ঢাকা, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

বৃহস্পতিবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া লড়াই

খেলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:১৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ১৩:০১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আগুনে সিরিজই শুরু হতে যাচ্ছে ভারতের পুণে শহরে। চার টেস্টের এই সিরিজটি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়।

কয়েকটি ফ্যাক্ট জড়িয়ে পড়েছে এই সিরিজের সঙ্গে। এই সিরিজেই হয়তো টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বরে আসতে পারে অস্ট্রেলিয়া। এটা যেমন একটি বিষয়, তেমনি এর বিকল্প হতে পারে- অস্ট্রেলিয়া কোনোমতে একটা পারফরম্যান্স করে ভারত ছাড়তে পারে। তবে এক নম্বরে যেতে হলে এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-০ কিংবা ৪-০ তে অবশ্যই জিততে হবে।

ক্রিকেটের ন্যুনতমও যারা খোঁজ-খবর রাখেন, তারা মাত্রই বলে উঠবেন, ‘অসম্ভব’। এটা কোনোমতেই সম্ভব নয়। কীভাবে ভারতের মাটি থেকে ভারতকেই ৩-০ বা ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেশে ফিরবে অসিরা? যারা কি-না টানা ১৯ টেস্ট অপরাজিত! ঘরের মাঠে সর্বশেষ ২০ টেস্টের ১৭টিই জিতেছে এবং ড্র করেছে মাত্র ৩টিতে! ঘরের মাঠে পরাজয় কাকে বলে, সেটা দেখতে শেখেনি এখনও বিরাট কোহলির এই দলটি।

২০১৫ সাল থেকে অপরাজেয় অভিযাত্রা শুরু বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোংয়ের। এরপর টানা ১৯টি টেস্ট হারেনি ভারত। এর মধ্যে যদিও একটি মাত্র সিরিজ তারা খেলেছে দেশের বাইরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের আগস্টে শ্রীলংকার গলে টেস্ট হেরেছিল। ঘরের মাঠে সর্বশেষ টেস্ট হেরেছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে, ইংল্যান্ডের কাছে, ২০১২ সালে। যখন যুবরাজ সিং ছিলেন টেস্ট খেলোয়াড় এবং এখনকার আজিঙ্কা রাহানে কিংবা রবীন্দ্র জাদেজারা ভারতীয় দলের হয়ে খেলাই শুরু করেননি।

অপর দিকে এশিয়ার মাটিতে সর্বশেষ ৯টি টেস্ট ম্যাচই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। গত বছর পর্যন্ত এশিয়ার মাটিতে শ্রীলংকায় গিয়ে অনায়াসে জয় পাওয়ার রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার; কিন্তু গত বছর শ্রীলংকার মাটিতে এসে অস্ট্রেলিয়া হেরে গেছে ৩-০ ব্যবধানে। এক রঙ্গনা হেরাথের কাছেই হারতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়ার সেই দলের ৯ জন রয়েছে এখনকার এই দলে।

উপমহাদেশের মাটিতে স্পিনে এমনিতেই দুর্বল অস্ট্রেলিয়া। কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন অস্ট্রেলিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিল ভারতের মাটিতে খেলতে যাওয়ার আগে স্পিন কীভাবে খেলতে হয়, সেটা ভালোভাবে শিখে যেতে। ভারতে এসে রবিচন্দ্র অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে কীভাবে সামলাতে হবে সেটাই সবার আগে ভাবতে হচ্ছে অসিদের। একই সঙ্গে ভারতীয়দের স্পিন দিয়ে কীভাবে টেক্কা দিতে হয়, সেটাও অস্ট্রেলিয়াকে ভাবতে হবে।

২০১৩ সালেই সর্বশেষ নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে স্বাগত জানিয়েছিল ভারত। সেবার অশ্বিন আর জাদেজা মিলে নিয়েছিলেন ৫৩ উইকেট। চার টেস্টের সিরিজে মাত্র একটি সেঞ্চুরি করেছিল অস্ট্রেলিয়ানরা। মাইকেল ক্লার্ক সেই সিরিজের প্রথমদিনই সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপর চরম হতাশা নিয়েই বিদায় নিতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।

চার বছর পর সম্পূর্ণ নতুন এক অস্ট্রেলিয়া আসলো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে। পিটার হ্যান্ডসকব, ম্যাট রেনশ এবং শন মার্শরা এই প্রথমবারের মতো খেলবে ভারতের মাটিতে এসে। এরাই হয়তো হতে পারবে ভারতের স্পিনিং ট্র্যাকে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাম্পকার্ড। একই সঙ্গে জস হ্যাজলউড এবং স্টিভেন ও’কেফি এই প্রথম টেস্ট বোলিং করবে ভারতের মাটিতে।

২০১৩ সালে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দর শেবাগ এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ক্রিকেটাররা। এবার এসব অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা নেই। ভারত কি পারবে, তাদের সেই পুরনো রেকর্ড ধরে রাখতে? অস্ট্রেলিয়া কি পারবে, ভারতের মাটি থেকে জয়ী হয়ে ফিরে যেতে!

নিউজওয়ান২৪.কম

খেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত