বিনিয়োগে বাংলাদেশ-জাপানের বিশাল সুযোগ রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. এ কে আব্দুল মোমেন
বাংলাদেশ ও জাপানের বেসরকারি খাতের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সম্পৃক্ত হওয়ার বিশাল সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ও জাপান’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি বলেন, আমরা জাপানের সঙ্গে বিনামূলে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি দুই দেশের বেসরকারি খাতের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করবে।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জাপান বেশ কয়েকটি মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য আড়াইহাজারে বিশেষ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায় ও বিনিয়োগের সম্পর্ক জোরদার করার জন্য সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপে যুক্ত রয়েছি।
বছরের পর বছর ধরে এই সম্পর্ক আরো গভীর ও প্রশস্ত হয়েছে বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে তার জাপান সফরের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যে পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সম্পর্ক বাড়তে থাকবে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজে আবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সফর করেন।
ড. মোমেন বলেন, এই উচ্চ-পর্যায়ের যোগাযোগ আমাদের সম্পর্ককে একটি ঊর্ধ্বমুখী পথের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানি স্টাডিজ বিভাগ এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানি স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহ-আল-মামুনের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম. মাকসুদ কামাল, জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং জেবিসিসিআিইয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ এবং জাপানের আইডিই-জেট্রোর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মায়ুমি মুরায়মাও বক্তব্য দেন।
বক্তারা জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু জাপানের উন্নয়নের মডেলকে বিশ্বাস করেছেন এবং স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনঃনির্মাণে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাপানি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী তাকাশি হায়াকাওয়া দু'দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তি তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মাসুদ বিন মোমেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের সহায়তার কথা স্মরণ করেন।
নাওকি ইতো তার বক্তব্যে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
নিউজওয়ান/আই
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ