বাংলাদেশ যাচ্ছে পাকিস্তানে, জোর আলোচনায় সাব্বির!
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
সিসি ইমার্জিং কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। অনেক দিন পর বিসিবি কোনো দল পাঠাচ্ছে পাকিস্তানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকা সাব্বির এই টুর্নামেন্টে খেলবেন কি না, সেটি নিয়ে হচ্ছে আলোচনা।
এসিসি ইমার্জিং কাপে বাংলাদেশ খেলবে কি না, তা নিয়ে অনেক দিন দ্বিধায় ছিল বিসিবি। টুর্নামেন্টের আয়োজক যে পাকিস্তান। ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছে, টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে হলে তারা সেখানে খেলতে যাবে না। বাংলাদেশ সরাসরি কিছু না বললেও ভারতের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। ডিসেম্বরে ইমার্জিং কাপ খেলতে পাকিস্তানে অনূর্ধ্ব-২৩ দল পাঠাচ্ছে বিসিবি।
ইমার্জিং কাপ সামনে রেখে ২৩ খেলোয়াড়ের একটা তালিকা তৈরি করেছেন নির্বাচকেরা। এ তালিকায় আছেন এনামুল হক, তাসকিন আহমেদের মতো জাতীয় দলের বাইরে থাকা তারকারা। খুব শিগগির দলটা ১৫ জনে নেমে আসবে। তালিকায় থাকা একটি নামের পাশে ‘প্রশ্নচিহ্ন’ দিয়ে রেখেছেন নির্বাচকেরা। নামটি হচ্ছে সাব্বির রহমান। গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে যাঁকে ছয় মাস নিষিদ্ধ করেছে বিসিবি।
নির্বাচকেরা তাই দ্বিধায়, সাব্বিরকে এসিসি ইমার্জিং কাপে রাখবেন কি না। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এটা নিয়ে একটু আলোচনা করতে হবে । ইমার্জিং কাপ একধরনের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। এখানে বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে।’ বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী জানালেন, সাব্বিরের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা এখনো আলোচনা করেননি। যদি নির্বাচকেরা বোর্ডের সবুজ সংকেত পান, সাব্বিরকে ইমার্জিং কাপে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
ইমার্জিং কাপে খেলার বিষয়টি অনেক ‘যদি’, ‘কিন্তু’র ওপর নির্ভর করলেও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল নিশ্চিত করেছেন, সাব্বিরকে রাখা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে। সবশেষ জাতীয় লিগে অবশ্য ভালো করতে পারেননি সাব্বির। রাজশাহীর হয়ে ৬ ম্যাচে ৩১.৩৩ গড়ে করেছেন ১৮৮ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিশ্বকাপ দলে সাব্বিরের সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচকেরা তাই চাইছেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ‘আন্তর্জাতিক মেজাজ’ থাকে এমন ম্যাচে তাঁকে খেলার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।
সাব্বিরের ফেরা-না ফেরার সঙ্গে বাংলাদেশের পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। সাধারণত বিশ্বকাপে একাধিক দেশকে একসঙ্গে আয়োজক হতে দেখা যায়। এখন ইমার্জিং কাপের মতো বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টও আয়োজন করছে একাধিক দেশ। ২০১৭ সালে ইমার্জিং কাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। পরেরটি আয়োজন করার কথা ছিল শুধুই পাকিস্তানের। এখানেই বাধে গোল। ভারত কিছুতেই যাবে না পাকিস্তানে খেলতে। বাংলাদেশও একই সুর তুলেছিল। অবশেষে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল একটি বিকল্প উপায় বের করেছে।
৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে আট দল। ভারত যেহেতু পাকিস্তানে যাবে না, তারা খেলবে শ্রীলঙ্কায়। পাকিস্তানের গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ খেলবে করাচিতে। মজাটা হচ্ছে, ভারতের যেহেতু সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা আছে, এ কারণে টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বটা হবে শ্রীলঙ্কায়। ইমার্জিং কাপ খেলতে ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকার পরও বিসিবি কেন পাকিস্তানে দল পাঠাচ্ছে, এ প্রশ্নে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী প্রথম আলোকে বললেন, ‘এটি এসিসির টুর্নামেন্ট। যেহেতু পাকিস্তানে ভারত যাবে না, আর শ্রীলঙ্কাও আয়োজক; তারা আরেকটা দেশে গিয়ে খেলবে না। এসিসির কাছে অপশন হচ্ছে বাংলাদেশ। এসিসির সদস্য হিসেবে তাদের টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। তবে এখানে সরকারের অনুমতির বিষয়ও আছে। সরকার অনুমতি দিলে দল যাবে।’
ইমার্জিং কাপে টেস্ট খেলুড়ে যে দলগুলো অংশ নেয়, সাধারণত তাদের অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলে। তবে এই দলে ২৩ পেরোনো সর্বোচ্চ চারজন খেলতে পারে। আর সহযোগী দলগুলো জাতীয় দলটাই পাঠায়। সবশেষ ইমার্জিং কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
নিউজওয়ান২৪/ইরু
- ছয় বলেই কেন এক ওভার?
- টিম ইন্ডিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপ: ক্ষমা চেয়েছে প্রথম আলো!
- এবারো কী ১৪ জন খেলবে টাইগারদের বিরুদ্ধে!
- আনন্দবাজারকে মুস্তাফিজুর
`আপনা আপনিই ওটা হয়, কেউ শেখায়নি` - বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের টিকিট যেভাবে পাবেন?
- ফের নগ্ন আম্পায়ারিংয়ের শিকার বাংলাদেশ
- রোনালদোকে বিয়ের দাওয়াত দিলেন মেসির স্ত্রী
- বিজয় দিবসে লিভারপুলের শুভেচ্ছা
- অনুশীলনের ফাঁকে মাশরাফির ‘দুষ্টুমি’ (ভিডিও)
- দেশের মাটিতে ‘কিংবদন্তী‘র শেষ ম্যাচ!
- সেই সৌম্যই সমাধান?
- `লিটইন্যা`র সেঞ্চুরি
- গেইলের ১৮+
- প্রীতির দলে নেই শেবাগ, প্রশ্ন উঠেছে ‘সম্পর্ক’ নিয়ে!
- যে কারণে মেসির কথা শুনে কেঁদেছিল পুরো আর্জেন্টিনা দল