নয়া টেকনিক! ইভিএম বোতামে মাখানো আছে আতর, আঙুল শুঁকেই...
বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক
প্রতীকি চিত্র
ভোটকেন্ত্রে গিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ শেষে আঙুল উঁচিয়ে কালির দাগ দেখাচ্ছেন সেলেব্রিটি, হেভিওয়েটরা আর ভক্তরা তা চোখ বড় বড় করে দেখেন- এমন ঘটনা চোখ সওয়া আজকাল। কিন্তু পশ্চিবঙ্গে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মঙ্গলকোটের মাজিগ্রামের ভোটারদের অভিজ্ঞতা হলো অন্যরকমের। সেখানে সাধারণ ভোটারদের ভোটের কালি লাগানো আঙুল দেখাই নয় শুধু, নাকের সামনে এনে সেই আঙুল শুঁকেও দেখছেন তৃণমূল কর্মীরা।
কিন্তু কেন? অভিযোগে জানা গেছে, ইভিএম-এ তৃণমূলের প্রতীকের পাশের বোতামে আগে থেকেই লাগিয়ে রাখা হয়েছিল খুশবুদার আতর। যাতে করেন...
আর তাই, ভোট দেওয়ার পর ভোটার মুখে যাই বলছেন তার বিশ্বাস না করে তাদের আঙুলের গন্ধ শুকছেন তৃণমূল কর্মীরা। আর তা থেকেই দলের কর্মীরা পাচ্ছেন সঠিক রিডিং। বুঝে যাচ্ছেন, ‘সংশ্লিষ্ট মক্কেল’ তৃণমূলের মার্কায় ভোট দিয়েছেন কি না। তার পর সেই অনুযায়ী দাওয়াই। তবে পশ্চিবঙ্গের শাসক দল মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেমের পক্ষ থেকে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বীরভূম কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ভোটের আগে থেকেই হুমকি, শাসানি, মারধরের অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাতে কি সত্যিই কাজ হচ্ছে? সব ভোট তৃণমূলের প্রতীকে পড়ছে তো? সেটা যাচাই করতে গিয়েবিরোধীরা অভিনব কৌশল প্রয়োগের অভিযোগ উঠালো তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম অঞ্চলের বকুলিয়ার ১৩২ নম্বর বুথের ঘটনা নিয়ে মুখর সেখানকার নির্বাচনী পরিবেশ। বলা হচ্ছে তৃণমূলের আতর-কৌশলের কথা।
কী সেই কৌশল? স্থানীয় সূত্রের খবর, এক শ্রেণির ভোটকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তৃণমূল কর্মীরা ইভিএমে দলের প্রতীকের পাশের বোতামে (যেখানে টিপ দিয়ে ভোট দেওয়া হয়) আতর লাগিয়ে রাখা হয়। তৃণমূলকে ভোট দিলেই সেই আতরের গন্ধ লেগে যাচ্ছে ভেটারের আঙুলে। এর পর কেউ ভোট দিয়ে বেরোলেই তাঁর আঙুল শুঁকে পরীক্ষা করেন তৃণমূল কর্মীরা। কারও আঙুলে আতরের গন্ধ না পেলেই... ব্যস, গাদ্দার চিহ্নিত!
এছাড়া বুথের ভিতরে যেমন ছিল ‘আতর-কায়দা’, তার বাইরেও কার্যত ছিল তৃণমূলের জটিল জাল বিছানো। অভিযোগ, বুথের ২০০ মিটারের মতো দূরে তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় বসে ছিল। ভোটাররা বুথের কাছে যাওয়ার আগেই তারা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুড়ি-নকুলদানা বা ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট। বুথের দিকে আর এগোতে দেওয়া হয়নি। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির পথে। ভোটাররাও অশান্তির ভয়ে ফিরতি পথ ধরেছেন। এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
অভিযোগ আরও রয়েছে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, ভোটকর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও নিজেদের পক্ষে কাজ করাতে তৎপর ছিল তৃণমূল। ভোটের আগের রাতেই তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় শাসক দলের তরফে। বিলি করা হয় সিগারেট, প্যাকেটজাত খাবারও। তৃণমূল এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি এখনও।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে
- বাঙালির বংশ পদবীর ইতিহাস
- গন্ধভাদালি লতার উপকারিতা
- ‘ময়ূর সিংহাসন’
- মিশরীয় সভ্যতা এবং নীল নদ
- মধ্যযুগের ইতিহাস
- ব্যবহারের আগে জানুন প্লাস্টিক বোতলে চিহ্নের মানে কী
- পবিত্র কাবা শরীফের অজানা যত তথ্য
- হ্যালুসিনেশন আসলে কী, রোগ না অন্য কিছু?
- পিরামিডের অজানা তথ্য…
- বিকাশ নগদ এবং রকেট’র ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পাবেন যেভাবে
- চুম্বকের আদ্যোপান্ত...
- ‘চুম্বন’ আদর ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
- ‘রক্ত’ রঙের রহস্য...
- ‘ধানমন্ডি’ নামকরণের ইতিহাস
- মানুষের পর বুদ্ধিমান প্রাণী...