নারীর নিরাপত্তায় ইসলামের বিধিবিধান...
নিউজ ডেস্ক

তাকওয়া বা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার ভয় মানুষকে উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন থেকে হেফাজত করে।
মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে স্বচ্ছ বিবেক-বুদ্ধি দান করেছেন।
বিবেক-বুদ্ধিকে সদা জাগ্রত রাখার জন্য পবিত্র কোরআনুল কারিমের অসংখ্য আয়াতে নারী-পুরুষ সবাইকে তাকওয়ার অধিকারী হতে বলেছেন।
ঘরে-বাইরে, পাড়া-মহল্লায় কিংবা চলার পথে বিশ্বব্যাপী নারীরা অহরহ যৌন হয়রানিসহ নানা সমস্যায় পড়ছে। অথচ মহান আল্লাহ তায়ালা পুরুষদেরকে নৈতিকতা বিবর্জিত কাজকে নিরুৎসাহিত করেছেন। নারীদের কল্যাণে পুরুষরা যাতে নিজেদেরকে সংযত করে পবিত্র কোরআনে সে নির্দেশ প্রদান করছেন
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
‘মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন ‘ (সূরা: নুর, আয়াত: ৩০)
মহান আল্লাহ তায়ালা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা কর্মনীতি পেশ করেছেন। জীবন পরিচালনায় এক দিকে যেমন পুরুষদেরকে নারীদের প্রতি কুদৃষ্টি ও ধ্যান-ধারণার নিষেধ করেছেন। আবার নারীদেরকে পুরুষের সামনে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন।
নারী-পুরুষ উভয়ের কল্যাণে আলাদা আলাদা আদেশ, নিষেধ, উপদেশ বর্ণনা করেছেন। শুধু পুরুষের জন্য আইন প্রণয়ন করে যেমন নারীর নিরাপদ পথচলা নিশ্চিত করা যাবে না। তেমনি নিরাপদ পথচলায় নারীর জন্যও রয়েছে করণীয়। ঘরের বাইরে নারীদেরকে শালিন ও সভ্য পোশাকে চলতে হবে। যাবতীয় উচ্ছৃঙ্খলতাও পরিহার করতে হবে। তাইতো মহান আল্লাহ তায়ালা নারী-পুরুষ উভয়কে লক্ষ্য করে ঘোষণা করেন-
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْءَاتِكُمْ وَرِيشًا وَلِبَاسُ التَّقْوَىَ ذَلِكَ خَيْرٌ ذَلِكَ مِنْ آيَاتِ اللّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
‘হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেজগারির পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে ‘ (সূরা আরাফ : আয়াত ২৬)
পুরুষরা বেশির ভাগ সময় ঘরের বাইরে বিভিন্ন কাজে অবস্থান করে। তাদের এ অবস্থানকালীন সময়ে কোনোভাবেই যেন কোনো অন্যায় সংঘটিত না হয়। রাস্তার হক নষ্ট না হয়, আনন্দ-বিনোদনে নারীরা যাতে হেয় কিংবা আক্রমণের শিকার না হয়। সে জন্য পবিত্র কোরআন হাদিসে এসব নির্দেশনা ও তাগিদ দেয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বিরত থাকো। অগত্যা যদি রাস্তাঘাটে বসতেই হয়, তখন রাস্তার হক আদায় করবে। রাস্তার হক হলো- তোমরা তোমাদের চোখকে অবনত রাখবে, কাউকে কষ্ট দেবে না, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেবে, সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করবে।’(বুখারি)
হাদিসের নির্দেশনায় চোখ নিচু রাখার অর্থই হলো কোনো নারী যেন তার কুদৃষ্টির শিকার না হয়। নারীর প্রয়োজনে পথ চলায় যেন কোনো হয়রানির শিখার না হয়।
নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ
- যে দোয়ায় গলার কাঁটা নেমে যাবে ইনশাল্লাহ!
- ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল
- দরুদে ইব্রাহিম
- মা-বাবার জন্য দোয়া
- তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ
মসজিদে ঢুকেই দু’রাকাত নামাজ... - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি...
- দরুদে ইব্রাহিম
- কোরআন হাদিসের আলোকে জুমা’র দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- ঋণ মুক্তির সর্বোত্তম আমল
- ফজিলতপূর্ণ কিছু দোয়া ও আমলসমূহ
- পবিত্র কোরআনের তথ্যকণিকা
- জুমার দিনের ৩ আমল
- হযরত আদম আ. এর বিয়ের মহর কত ছিল!
- ফেরেশতা পরিচিতি...
- ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে’