দেশে বাড়ছে করোনা রোগী
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
গত দুই মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ধারা নিম্নমুখী থাকলেও কয়েকদিন ধরে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৮ জন। এর আগে সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি একদিনে এক হাজার ৭১ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ৭ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৪৯৬ জনে।
বুধবার (১০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬ হাজার ৬১৩ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ২৯৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে ১৭ হাজার ৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, নারী ৩ জন। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া আট হাজার ৪৯৬ জনের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৪২৪ জন, বাকি দুই হাজার ৭২ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৩ জন ষাটোর্ধ্ব, ৩ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ১ জন চল্লিশোর্ধ্ব রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর দেশে ভাইরাসটিতে প্রথম মৃত্যু হয়। প্রথম মৃত্যুর তিন দিন পর করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যু হয় ২১ মার্চ। এরপর ২৩, ২৪ ও ২৫ মার্চ টানা তিন দিনে তিন জনের মৃত্যু হলেও মার্চ মাসে ভাইরাসটিতে আর কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
১ এপ্রিল মৃত্যু হয় আরেকজনের। মৃত্যুশূন্য থাকে ২ ও ৩ এপ্রিল। ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দেশে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আর এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন করোনায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জনের নিচে থাকলেও, ১৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো করোনায় দুই সংখ্যার মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। ১৭ এপ্রিল ছাড়িয়ে যায় মানুষের কল্পনাকেও, ওই দিন দেশে করোনায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়।
এরপর ১০ মে ১৪ জনের মৃত্যুর পর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত, মাঝের সময়ে করোনায় সিঙ্গেল ডিজিটের কোনো মৃত্যু হয়নি। ভাইরাসটিতে প্রথম ২০-এর অধিক মৃত্যু হয় ১৮ মে, সেদিন দেশে ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে। ৩১ মে প্রথমবারের মতো দেশে ৪০ জনের মৃত্যু হয় এ ভাইরাসে। ৫০ ছাড়ায় ১৬ মে, সেদিন মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। ৩০ জুন দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে, সেদিন এ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নেয় ৬৪ জনের।
মূলত ২৯ মে থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু একদিনের জন্যও ২০ জনের নিচে নামেনি। প্রায় চার মাস ১০ দিন পর ৯ অক্টোবর করোনায় মৃত্যু ২০-এর নিচে নেমে আসে, সেদিন দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
নিউজওয়ান২৪/আই
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ