দাঁত দিয়ে নখ কাটা, একটি বাজে অভ্যাস!
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
দাঁত দিয়ে নখ কাটা ব্যক্তিরা হয়তো নিজেও বুঝতে পারেন না এটি একটি বাজে অভ্যাস! নেইল বাইটিংকে অ্যানোকোফ্যাগি বা অ্যানিওফফগিয়াও বলা হয়। কখনো বা এই অভ্যাসটিকে প্যারা ফাংশোনাল কার্যকলাপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
কথা বলার ফাঁকে, খাওয়ার সময়, আড্ডায় এমনকি অফিসে বসেও কাজের ফাঁকে অনেকেই দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। এতে করে পাশে থাকা অনেকেই বিরক্তবোধ করেন অনেকেই আবার ব্যক্তিকে বাজে বলেও সম্বোধন করে থাকেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাসটি জন্ম নেয়। কারণ শিশুরা মাঝেমধ্যেই মুখে আঙুল নিয়ে চুষতে থাকে। এই অভ্যাসটি একটু পরিনত বয়সে এসে নখ কামড়ানোতে রুপ নেয়। এভাবেই দাঁত দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ৭ থেকে ১০ বছর বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এবং ৪৫ শতাংশ টিনেজারের মধ্যে এই অভ্যাসটি রয়েছে। এটি মূলত একটি আবেগ নিয়ন্ত্রণ ব্যাধি হিসাবে বিবেচিত।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, অত্যন্ত নার্ভাস ব্যক্তিদের মধ্যে এই অভ্যাসটি বেশি রয়েছে। যারা দাঁতে দিয়ে নখ কাটে তারা ডিপ্রেশন, ভীতিসহ মানসিক দুঃশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন। ‘জার্নাল অব বিহেভিয়ার থেরাপি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলোজি’ নামক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই অভ্যাসটির সঙ্গে নার্ভাসনেস জড়িত। সেইসঙ্গে তারা অন্যান্যদের চেয়ে পরফেকশনিস্ট ঘরানার হয়ে থাকেন। তারা সবকিছুই পরিপাটিভাবে করতে চান কিন্তু এই অবসেশনের কারণে পারেন না।
এই গবেষণার মূল লেখক কিরণ ও’কনরের মতে, যারা সবকিছুতেই পারফেকশন চায় তারা যদি তারা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারেন তবে অসন্তুষ্টি ও হাতাশায় ভুগে থাকেন। যাদের ক্রমাগত দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর বদ অভ্যাসটি রয়েছে তারা অন্যদের পারফেশনিস্ট হওয়ার কারণে কোনো কাজই সাধারন গতিতে সম্পন্ন করতে সক্ষম হতে পারেন না।
এই গবেষণাটি ৪৮ জন ব্যক্তির উপর জরিপ চালিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। যাদের অর্ধেকই নখ কামড়ানোর অভ্যাস রয়েছে এবং বাকি অর্ধেক বিভিন্ন মুহূর্তে দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। এদের প্রত্যেকের অনুভূতি বোঝার জন্য গবেষকরা বিভিন্ন মুহূর্ত তৈরি করে তাদের রিঅ্যাকশন বুঝতে চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তারা গবেষণার ফাইন্ডিংস হিসেবে এই বিষয়টি খুঁজে পান।
গবেষকরা তাদের স্টাডিতে উল্লেখ করেছেন এই বদ অভ্যাস থেকে কীভাবে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব-
১. নখ ছোট করে কাটতে হবে। নখ না থাকলে তা দাতে কাঁটারও কোনো উপায় থাকবে না। তাই যখন নখ কামড়াতে ইচ্ছা করবে তখন মুখে নখ নিলেও নখ কাটার ইচ্ছা পূরণ হবে না। এতে করে অভ্যাসটা কমতে শুরু করবে।
২. নারীরা যারা এই অভ্যাসে আক্রান্ত। তারা মেনিকিউর কিংবা নেইলপলিশ দিয়ে বিভিন্ন আর্টের মাধ্যমে নখ রাঙাতে পারেন। এতে করে নখের সৌন্দয্য নষ্ট হওয়ার হেতু নিশ্চয়ই নখ মুখে নিবেন না!
৩. যত উপায়ই থাকুক না কেন মানুষ যদি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না শেখে তবে যে কোনো বাজে অভ্যাস বন্ধ করা তার জন্য দুষ্কর। এজন্য অবশ্যই নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে যতই দুঃশ্চিন্তা কিংবা হতাশা আসুক না কেন।
৪. জীবনের সবকিছুতেই পরিপূর্ণতা খোঁজাটা স্বাভাবিক তবে তার সঙ্গে দাঁত দিয়ে নখ কাটার মত বাজে অভ্যাসের কোনো সম্পর্ক নেই। এই অভ্যাসের কারণে আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট হচ্ছে। সঙ্গে নখের সৌন্দর্য্যও নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ভুলবশত নখ পেটে চলে গেলে বিভিন্ন পেটের পীড়ায় ভুগতে হবে। এজন্য এই অভ্যাসটি বন্ধ করুন, অচিরেই।
নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ
- অ্যাজমা চিকিৎসায় হোমিও সমাধান
- ছেলেদের যে অঙ্গগুলো পছন্দ মেয়েদের
- কুমারীত্ব...
- ঝাড়-ফুঁকে সাপ কামড়ানো রোগী ‘ভালো হয় যেভাবে’
- যৌনমিলন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- স্ত্রী হিসেবে মোটা মেয়েরাই ভালো!
- আকষ্মিক হার্ট অ্যাটাক! অন্যের সাহায্য ছাড়াই যেভাবে বাঁচাবেন নিজকে
- প্রয়োজনীয় যে সব ওষুধ...
- অলস বাবুদের জন্য সুখবর: আসছে কাপড় ভাঁজ করার মেশিন!
- যৌনতা বিষয়ে যে জিনিসগুলো জেনে রাখা জরুরি
- নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল
- আফ্রিকার ‘যমরাজ’ ব্লাক মাম্বা
- শারীরিক মিলনের পর করণীয় কিছু...
- শিশুকে ফ্লাইং কিস: আমিরাতি তরুণের জেল
- টাইফয়েডের নতুন টিকায় ১০ জনের ৯ জনই বাঁচবে