তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংগৃহীত ছবি
দেশে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা।
আজ বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় প্রশাসন আগামী ১৪ দিনের জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করে। স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
খাগড়াছড়ি : করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ১ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্ক, মায়াবিনী লেক, দেবতা পুকুর, হাতির মাথা সিঁড়িসহ সকল পর্যটন কেন্দ্রের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে পর্যটনকেন্দ্র থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এখানে ঘুরতে আসে। যার ফলে জেলায় করোনা রোগী বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক বেশি। এই জেলার মানুষদের করোনা থেকে মুক্ত রাখতে এবং সবাইকে সচেতন করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবস্থা বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
বান্দরবান : করোনা সংক্রমণ রোধে বান্দরবানের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার থেকে আগামী ১৪ দিন বান্দরবানের সাত উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দেশে দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে ৩১ মার্চ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য বান্দরবানের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জেলার কোনো পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকরা অবস্থান করতে পারবেন না। পর্যটক সমাগম কমে গেলে হোটেল-মোটেলও বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
জেলার নাফাকুম, রেমাক্রি, তিন্দু, দেবতাকুম, বগালেক, মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুকসহ যেসব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকরা অবস্থান করছেন তাদের দ্রুত পর্যটনকেন্দ্রে ছেড়ে নিজ গন্তব্যে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
রাঙামাটি : করোনা সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের জন্য রাঙামাটির সাজেকসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে আরও বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একই সঙ্গে প্রতিদিন রাত ৮টায় জেলার সকল দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট বন্ধ, গণপরিবহনে সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন, হোটেল-মোটেলে অর্ধেক টেবিল চেয়ার তুলে রেখে ভোক্তাদের সেবা প্রদান ও আবাসিক হোটেল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান রোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ