ঢাকা, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

তারাবি পড়তে হবে শেষ রোজা পর্যন্ত

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২ জুন ২০১৯  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

স্বাভাবিকভাবে গত রাতে অধিকাংশ মসজিদে খতম তারাবি সম্পন্ন হয়েছে। খতম তারাবি সম্পন্ন হলেও তারাবি পড়তে হবে শেষ রোজা পর্যন্ত। 

চাইলে বাকি দিনগুলোও খতম তারাবি পরা যেতে পারে। অন্যথায় সূরা তারাবি পড়তে হবে।

অনেককে দেখা যায় খতম তারাবি পর্যন্ত খুব গুরুত্বের সঙ্গে তারাবি আদায় করেন। খতম শেষ হয়ে গেলে গুরুত্ব যেন কমে যায় তা করা যাবে না। আগের মতোই মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে তারাবি আদায়ই হবে মুমিন বান্দার আমল।

পবিত্র মাহে রমজান যেসব বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য মহিমান্বিত, তার মধ্যে অন্যতম এই তারাবির নামাজ। তারাবির নামাজ মুসলমানদের ওপর সারা বছরের মধ্যে শুধুই রমজান মাসের জন্য সুন্নত বিধান হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

যেহেতু রমজান মাস ছাড়া বছরের অন্য কোনো সময়ে তারাবির নামাজ আদায় করার সুযোগ নেই তাই বার্ষিক ইবাদত হিসেবে এর গুরুত্ব অন্যান্য সুন্নত নামাজ অপেক্ষা বেশি। এতে অবহেলা করে রমজানের অর্জনে কমতি করা ভালো নয়। বরং পূর্ণ গুরুত্বের সঙ্গে তারাবিসহ যাবতীয় নেক আমল বেশি বেশি করা।
 
আরবের প্রখ্যাত আলেম শায়খ উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘সুন্নত হলো ইমামের অনুসরণ করা; ইমাম তারাবি পরিপূর্ণ করার আগে যদি মুক্তাদি চলে যায়, তাহলে মুক্তাদি কিয়ামে লাইল বা রাত জাগরণের সওয়াব থেকে বিরত হয়।’ (মাজমুউল ফাতাওয়া : ১৪/২০০-২০১)

পুরো রমজানে যতগুলো রোজা ততগুলো তারাবির নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমান ও সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে রমজান মাসের রাতে কিয়াম আদায় করবে অর্থাৎ তারাবির নামাজ আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ (বোখারি : ১৯০১; মুসলিম : ৭৫৯)

অপর এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন এবং রমজানে কিয়াম অর্থাৎ তারাবিহ নামাজ সুন্নাত হিসেবে বিধান জারি করেছেন।

সুতরাং যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়ারের উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা রাখবে এবং রাত্রে তারাবির নামাজ আদায় করবে সে যাবতীয় গুনাহ  থেকে নবজাতক শিশুর মতো পবিত্র  হয়ে যাবে।’ (নাসায়ি : ১/২৩৯; ইবনে মাজাহ : ৯৪)

নিউজওয়ান২৪.কম/আ.রাফি