ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সয়াবিনের ভূমিকা
মারিয়াম আক্তার স্বর্ণা, পুষ্টিবিদ

সয়াবিনে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন-ডি। ভিটামিন-ডি ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন ও নিঃসরণ বৃদ্ধি করে
আমাদের দেহের অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাব বা নিষ্ক্রিয় হবার কারণে দেহে শর্করা বিপাকে বাধাগ্রস্থ হয়ে পরলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে বহুমূত্র, মধুমেহ বা ডায়াবেটিস বলে।
ডায়াবেটিস রোগে রক্তে শর্করার বা চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় অথবা কমে যায়। কারণ ইনসুলিন সঠিক ভাবে তার কাজ করতে পারে না। আক্রান্তদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগে, তৃষ্ণার্ত অনুভব করে এবং বার বার মুখ শুকিয়ে যায়। আক্রান্তরা অতিমাত্রাই দুর্বলতা, সল্প সময়ে শরীরের ওজন হ্রাসসহ নানান জটিলতায় ভুগে থাকেন।
২০০৬ সালে ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এর ৬১/২২৫ নম্বর ঘোষণায় ডায়াবেটিসকে দীর্ঘমেয়াদি, অবক্ষয়ী ও ব্যয়বহুল ব্যাধি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যা মানবদেহে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে বিভিন্ন খাদ্যের মধ্যে সয়াবিন একটি অন্যতম পুষ্টিসমৃদ্ধ ও স্বল্পমূল্যের খাদ্য। আমাদের দেশে সয়াবিনের ব্যবহার তেমন না হলেও ভারত, জাপান, চীন, কোরিয়া ইত্যাদি দেশগুলোতে সয়াবিনের তৈরি খাবারগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়।
আবার অনেক দেশে সয়াবিনের তৈরি বিভিন্ন খাবার traditional food হিসেবেও গ্রহন করা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সয়াবিনের গুনাগুন সম্পর্কে জানি না।
আজ আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সয়াবিনের পুষ্টিগুন নিয়ে আলোচনা করবো।
> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সয়াবিন খুবই কার্যকারী একটি খাদ্য। সয়াবিনে যে শর্করা রয়েছে সেটি Low Glycemic Index শর্করা যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে অতি কার্যকরী। Low GI শর্করাসমৃদ্ধ খাবার দেহে ধীরে ধীরে পরিপাক হয়। ফলে রক্তে শর্করার পরিমান বারতে পারে না এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।
> সয়াপ্রোটিনে থাকা আইসোফ্লাভন্স রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বারিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রিত হয়।
> সয়াবিনে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন-ডি। ভিটামিন-ডি ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন ও নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। তাই টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে সয়াবিন একটি উৎকৃষ্ট খাবার।
> সয়াবিনে থাকা আঁশ দেহের অতিরিক্ত ওজন কমায় ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে।
> সয়াবিনে আছে ভিটামিন-সি যা আন্টিওক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে।
> সয়াচিজ সাধারন চিজের তুলনায় কম ফ্যাট ও ক্যালরি সম্পন্ন।
> প্রতিদিন ২০-২৫ গ্রাম পর্যন্ত সয়াবিন খাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। সয়াবিন যেমন উপকারী তেমনি এটি পর্যাপ্ত পরিমানে খেতে হবে। পরিমানের চেয়ে বেশি খেলে এর বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
> যাদের থাইরয়েড ও ইনফারটিলিটির সমস্যা রয়েছে তাদের সয়াবিন গ্রহন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সয়াবিন গ্রহন করতে হবে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, বিএসসি ইন ফুড অ্যান্ড নিউট্রেশন।
নিউজওয়ান২৪.কম/রাজ
- অ্যাজমা চিকিৎসায় হোমিও সমাধান
- ছেলেদের যে অঙ্গগুলো পছন্দ মেয়েদের
- কুমারীত্ব...
- ঝাড়-ফুঁকে সাপ কামড়ানো রোগী ‘ভালো হয় যেভাবে’
- যৌনমিলন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- স্ত্রী হিসেবে মোটা মেয়েরাই ভালো!
- আকষ্মিক হার্ট অ্যাটাক! অন্যের সাহায্য ছাড়াই যেভাবে বাঁচাবেন নিজকে
- প্রয়োজনীয় যে সব ওষুধ...
- অলস বাবুদের জন্য সুখবর: আসছে কাপড় ভাঁজ করার মেশিন!
- যৌনতা বিষয়ে যে জিনিসগুলো জেনে রাখা জরুরি
- নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল
- আফ্রিকার ‘যমরাজ’ ব্লাক মাম্বা
- শারীরিক মিলনের পর করণীয় কিছু...
- টাইফয়েডের নতুন টিকায় ১০ জনের ৯ জনই বাঁচবে
- শিশুকে ফ্লাইং কিস: আমিরাতি তরুণের জেল