ট্রাম্পকে কি মার্কিন মসনদে বসিয়েই দিলেন ওমর মতিন!
আহ্সান কবীর

২৪০ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন করা একটি দেশ এখন পর্যন্ত একজন নারী সরকারপ্রধান পেল না! আবার সেই দেশটি যদি হয় দুনিয়ায় সর্বেসর্বা! অবশ্য কষ্ণাঙ্গ সরকার প্রধান পেয়েছে তারা এবং সেই পাওয়াটা হয়েছে পর পর দুই টার্মের জন্য।
সেই সুবাদে আফ্রিকা-এশিয়া-ইউরোপ-আমেরিকার সব্বাইকে বিষয়টা বেশ ভালমতো দেখানো হয়েছে: হুম, দেখ, এখন আমরা নিগ্রোদেরও প্রেসিডেন্ট বানাই… কিন্তু দুনিয়াজুড়ে ‘গণতন্ত্র আর মানবাধিকার’ সমর্থক দেশটিতে এখন পর্যন্ত নেই একজনও নারী সরকারপ্রধান! যেখানে বাংলাদেশ, মরিশাস, শ্রীলংকা, ভারত, এমনকি পাকিস্তানের মতো দেশে নারী সরকার প্রধান হওয়াটা সাধরণ বিষয় হয়ে গেছে অনেক আগেই।
বিষয়টি নিয়ে খোদ মার্কিন মুল্লুকের অনেককে আফসোস করতে দেখা যায়। সঙ্গত কারণেই আমাদের নোবেল জয়ী ড. ইউনূস এবং অন্যান্য আফসোসকারীরা এবার আশায় বুক বেঁধেছিলেন- সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের স্ত্রী, সাবেক ফার্স্ট লেডি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি এবার মার্কিন মসনদে বসবেন।
আগেরবার দলীয় মনোনয়ণ হারিয়েছেন অতি জনপ্রিয় বারাক ওবামার কাছে। এবার দলীয় মনোনয়নের ইঁদুর দৌড়ে বাকি সবাইকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে যোগ্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে টিকে গেছেন। অনেকেই ভেবে নিচ্ছিলেন- শুধু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতাটাই বাকি আছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে। কারণ, তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরুতেই ‘মাথা মোটা আচরণ’ করে সাধারণ ভোটারসহ বিভিন্ন মহলকে ক্ষেপিয়ে তুলেছেন- তার মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের প্রকাশ্য সমালোচনা করেছে অনেক মুসলিম বিদ্বেষী মহলও।
আর হিলারির পক্ষের ফ্যাক্টরগুলো চিন্তা করুন একবার- নারী হিসেবে মার্কিন নারী ভোটারদের প্রত্যক্ষ সমর্থন ব্যক্তি এবং পেশাগত জীবনে অত্যন্ত সফল এই টপস্মার্ট নারীর পক্ষে যাবেই। হিলারির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে মার্কিন নারীরা স্বতন্ত্রভাবে তৈরি করছেন গ্রুপ, ফেসবুকে হিলারি সমর্থক পেইজ খুলছেন। তার সঙ্গে মনোনয়ন দৌড়ে যখন অপর ডেমোক্রেট বার্নি স্যান্ডার্স ছিলেন, তখন কিছুটা শংকা ছিল। তরুণদের সঙ্গে সঙ্গে বহু তরুণী ভোটারদের কাছেও স্যান্ডার্স ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। এখন যেহেতু স্যান্ডার্স নেই- বাধ্য হয়েই সেই ভোটাররা হিলারির দিকে ঝুঁকবেন- তেমনটাই আভাস মিলছে। হিলারির পক্ষে আছেন দলীয় প্রেসিডেন্ট ওবামাও।
সবই হিলারির পক্ষে ছিল- কিন্তু সেই সবই মনে হচ্ছে ওলটপালট করে দিল বন্দুকবাজ ওমর মতিন।
এখন অনেকেই মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দিল এই ওমর মতিন! তিনি মোটেই ‘মাথামোটা আচরণ’ করেননি শুরুতেই মুসলিম বিরোধী জিকির তুলে। কারণ, অরল্যান্ডোর নাইট ক্লাবে নির্বিচার গুলিতে ৪৯ জনকে হত্যা করে নিজেও নিহত মতিন ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় মানুষের মন-মনন-মস্তিষ্কের অনন্ত গভীরে ঘাপটি মেরে থাকা সদা জাগরুক সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত আগুনকে উস্কে দিয়েছেন বলা যায়।
তার ওপরে এটা হচ্ছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা। যে কায়দায় ভারতে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছেন, সেই মোদি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গুজরাট দাঙ্গার কুশীলব হিসেবে- যাকে যুক্তরাষ্ট্র একসময় ভিসা দিতে চায়নি এবংবিধ কারণে (পরে যদিও সেই মোদির সঙ্গে গলায় গলায় ভাব করতে দেখা যায় মার্কিন নেতাদের)- অনেকটা সেই কায়দায়, সেই ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার জোয়ারে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতে পারেন ট্রাম্প।
অন্যেরা যে যাই ভাবুন, এই অভাজনের এমনধারাই মনে হচ্ছে।
তাহলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েই যাচ্ছেন!?
এই প্রশ্ন এখন অনেকেই বিশেষ করে মার্কিন বা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুসলমানরা করছেন মনে মনে। মোট কথা সেই শনিবার রাতে যখন পুলিশ আর মিডিয়া মহাব্যস্ত ওমর মতিনের নৃশংসতা নিয়ন্ত্রণে আর তার খবর প্রকাশে- তখনো তার নাম পরিচয় জানা যায়নি, মার্কিন মুসলমানরা বা দেশটিতে বসবাসরত অন্য সব দেশের মুসলমানরা এই শংকাটিই করছিলেন- না জানি লোকটার পরিচয় মুসলিম হয়! পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে- কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা গেল, ইয়েস, দ্য শ্যুটার ইজ অ্যা ব্লা… মুসলিম!
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে টুইন টাওয়ার হামলা পরবর্তী সময়ের মুসলিম বিদ্বেষের রেশ এখনও পুরো কাটেনি। এর মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এই উপদ্রুপ।
ইতোমধ্যেই আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পালে হাওয়া লেগেছে এবং সে বাবদে চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। তিনি একের পর এক মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য আর মনোভাবে মার্কিন মৌলবাদী খ্রিস্টান-ইহুদি বলয়ে এবং মূলগতভাবে মুসলিম বিরোধী সব মহলের প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন।
এমনি পটভূমিতে অরল্যান্ডো শ্যুটিংয়ের ঘটনা ডোনাল্ডের পালে জোর হাওয়া লাগিয়ে দেবে সন্দেহ নেই। বিষয়টা যেন, একেতো নাচুনি বুড়ি তার ওপর ঢোলে বাড়ি… বা ‘পাগলারে নাও নাড়াইস না’ ধরনের পর্যায়ে পড়ে গেছে। যাকে নিয়ে এত আশংকা- সেই ডোনাল্ড ট্রাম্প মহাশয়ের প্রতিক্রিয়াটা কী ছিল অরল্যান্ডো শ্যুটিং নিয়ে?
তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সবশেষ তিনি দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের তালিকা তৈরি করতে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, মূলগতভাবে ইসলামবিশ্বাসটাই সমস্যা।
এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া শ্যুটিংয়ের পর ট্রাম্প মুসলিম বিদ্বেষের জিগিড় তুলেছিলেন। এবার অরল্যান্ডোর ঘটনায় তার অবস্থা হয়েছে- মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। ক্ষেত্র বিশেষে তার চুপচাপ থাকাটাকেও অনেকে ব্যাখ্যা করবেন এভাবে, ভদ্রলোক তো আগেই বলেছিলেন! তার কথা তো অক্ষরে অক্ষরে সত্য হলো। বরঞ্চ তিনি তো কমই বলেছিলেন। ওমর মতিনের মতো কসাই যে সম্প্রদায়ে…
সাম্প্রদায়িক চেতনার ভোটাররা এভাবে ভাবতেই পারে- ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো এমন দিব্যদৃষ্টির মহারথিরই তো হওয়া উচিৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট হলে ট্রাম্প সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন যে কয়জনের কাছে তাদের মধ্যে অন্যতম থাকবেন ওমর মতিন- এ নিয়ে আমার সন্দেহ নেই। কেন যেন মনে হচ্ছে ট্রাম্পের সত্যিকার ট্রাম্প কার্ড প্রমাণ করে গেলেন মতিন নিজেকে।
আবার সর্বশেষ ভারতীয় জাতীয় নির্বাচনের দিকে চোখ ফেরাই আসুন। নির্বাচনের আগে সবগুলো প্রগতিশীল পক্ষ, বুদ্ধিজীবীমহল এমনকি নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনও ছিলেন তার বিপক্ষে। মৌলবাদী বিজেপি আর মোদির সমালোচনামুখর অমর্ত্য সেন প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন, মোদিকে তিনি কখনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না। কারণ, মোদি ধর্মনিরপেক্ষ নন। তিনি বলেছিলেন, একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আমি কখনোই মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই না।
লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির সমালোচনা করে অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, গোধরা কাণ্ডের পর তার মতো ব্যক্তির ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা সাজে না। নোবেল জয়ী বিদ্বান, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভারতের অহংকার অমর্ত্যের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন অনেক মহীরুহ। কিন্তু বাস্তবতা হলো- কোনোকিছু টেকেনি ধর্মীয় মৌলবাদের কাছে। বিজেপিকে ব্যাপকভাবে ভোট দিয়েছে হিন্দুপ্রধান ভারত। কৌশলি চালে ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যান্য ভোট ব্যাংকও বিশেষ করে অনেক স্থানে মুসসলিম ভোটও টানতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি- ফল! নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় মোদি। পরে দেখা যায়, অমর্ত্য বাবুও মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। সেটা অবশ্য ভিন্ন বিষয়।
তো এই ধারার ঘটনা এবার মার্কিণ মুল্লুকেও ঘটতে পারে- এ নিয়ে খুব একটা দ্বিমত করার সুযোগ নেই।
ওদিকে, গোঁড়া শ্বেতাঙ্গ, বয়স্ক আমেরিকান আর প্রভাবশালী ধনবান আমেরিকানরাতো আছেনই- আছে দাপুটে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের মালিকপক্ষ ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের প্রতি ‘কান্নি খাওয়ার’ বিষয়টিও বলা যায় ওপেন সিক্রেট। এছাড়া রিপাবলিকানপন্থি গণসমর্থকরা তো আছেই যারা দল যদি কলাগাছকেও দাঁড় করায়, তাকেও ভোট দেবে। সেক্ষেত্রে তাদের কাছে ট্রাম্প কলাগাছের চেয়ে হাজারগুণ আকর্ষক প্রার্থী- তার ওপর তিনি নামকরা ধনবান ব্যক্তি। একমাত্র ধন-সম্পদের কারণে মানুষের অনেক খুঁত ঢেকে যায়- এটা নয়া কোনো সমীকরণ নয়।
এত কিছুর পরেও আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটে না। আসুন এবার জরিপের ফলগুলোয় নজর দেয়া যাক। সর্বশেষ জরিপ বলছে, মোট ভোটারদের শতকরা ৪৩ ভাগের ভোট হিলারির কপালে জুটবে না। তবে এই ৪৩ভাগ ভোটের বিশাল জনমত ট্রাম্পকে মাথায় তুলে নেবে কি না তার ‘নিশ্চিত নিশ্চয়তা’ দেওয়া না গেলেও একথাও বলা যায়, তারা ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন না- এটাও কিন্তু কেউ আপনাকে বলে যাননি কানে কানে।
হিসেব আরেকটা আছে। পর পর তিন বার প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেটরাই নির্বাচিত হয়েছে, এমন রূপকথা মার্কিন ইতিহাসে এখন পর্যন্ত নেই। তো... পাল্লাটা হিলারির জন্য বেশ কঠিনই হবে। যদি ট্রাম্পের পক্ষে এতসব অনুকূল ‘কারণ’ থাকার পরও হিলারি সাহেবা যদি বাজি মেরেই দেন- বলতে হবে তিনি বাপকা বেটি-ই নন, ‘সাহেব ক্লিনটনকা বিবিও’! এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রৈই নয়া ইতিহাস হবে না, ডেমোক্রেটদের জন্যও হবে অনন্য স্বাপ্নিক গল্পগাঁথা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহেব এমনিতেই তার দেশে চলমান জনপ্রিয় কালচার মুসলিম বিরোধিতার ব্রান্ড নিয়ে মাঠে নামেন। হিলারির মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে এবং ধর্মনিরপেক্ষ মহলের নানা খোঁচা-কটাক্ষ হজম করেও তিনি টুকটাক এই-সেই ঘটনায় ভালই ঢোলের বাড়ি পাচ্ছিলেন নিজের পক্ষে। তবে সেটা ততটা মজবুত হয়ে উঠছিল না। কী যেন মিস করছিল! মনে হচ্ছিল বড় ঢাকটিতে লাগসই কাঠির বদলে কেউ যেন টুথপিক দিয়ে খোঁচা মারছে। এবার আইএসের কথিত ‘লোক’ মতিন সাহেব তার জাতভাইদের (তা জাতের বাকি ভাইব্রাদাররা তাকে জাতভাই হিসেবে যতই না মানুক) ‘স্বার্থে’ ট্রাম্পের সেই ঢাকে বাঁশের বাড়ি দিয়ে দিলেন। এই বাড়ির সুর টের পাবেন মার্কিন মুসলমানরা সামনেই- মতিনের গুলিতে ৪৯ লাশের বিনিময়ে সংখ্যাগুরু মার্কিনিরা এবার তাদের উপহার দিবে শক্তপোক্ত একখান মুসলিম বিরোধী কুতুব মিনার টাইপ বাঁশ। যিনি দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের মসনদে আসীন হয়ে দেশে এবং বিদেশে শত কোটি মুসলিমদের জন্য প্রস্তুত করবেন হাজারে হাজারে বাঁশ নয়, বলা যায় হাজারে হাজারে বাঁশঝাড়। তখন মুসলিম বিদ্বেষের জন্য ট্রাম্প সাহেব ও তার সঙ্গীদের সামনে ইসরাইল অনেকটাই পানসে হয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রই তখন হবে মুসলিম বিদ্বেষের তীর্থভূমি, ইসরাইল নয়।
তবে এসব নিয়ে যাদের ভাবার কথা, মুসলিম বিশ্বের সেই মোড়লরা মানে আরবরা কি তা ভাবছে! সৌদি আরব তো প্রতিবেশি ইয়েমেনে যুদ্ধে ব্যস্ত, সিরিয়ায় বাশার আল আসাদকে হটাতে মরিয়া। ইরানও একটা মাথা ব্যথা- ও ভাল কথা, তারা আইএসের বিরুদ্ধেও তো আছে! তাইলে… ওমর মতিনও তো নাকি ‘আইএসেরই লোক’! সৌজন্য: একুশে পত্রিকা
নিউজওয়ান২৪.কম/এসএল
- বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম নারী শেখ হাসিনা
- সিরাজুল আলম খান রহস্য, একটি রাজনৈতিক বিতর্ক
- ঘটনা গুরুতর: প্রধান বিচারপতির উত্তরের আশায় পুরো বাংলাদেশ!
- পিরিয়ডের সময় যে খাবারগুলো ক্ষতিকর
- ‘ডোপ টেস্ট’ কী? জেনে নিন...
- দুর্লভ সাদা গোখরাটি জ্যান্ত গিলে খেল অপর সাপকে! (ভিডিও)
- মইনুলকে জানি না তবে মাসুদা ভাট্টি চরিত্রহীন: তসলিমা
- আহ! কাকের বাসা
- উন্মাদের পরিবেশ সচেতনতা কার্টুন প্রদর্শনী শুরু
- র্যাবের নয়া এডিজি কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পিএসসি
- ৫ বছর আগের কার্টুনের বক্তব্য...
- বিবস্ত্র হয়ে ঘর পরিষ্কার, অতঃপর...
- কেমন যাবে আপনার আজকের দিন
- গরীবের কংকাল ঢাকে ধনবানের স্ফীত উদর!
- রওশনের বাবা নাকি এরশাদ?- প্রথম আলো