ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সর্বশেষ:

জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলতে ড. কামালকে চাপ প্রয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:২০, ১ এপ্রিল ২০১৯  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে দলটি। এবার বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলতে চাপ প্রয়োগ করেছে বিএনপি।

রবিবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণা কর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন ঘটনা ঘটে।

আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন বক্তব্য দেয়ার পাঁচ মিনিটের দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলার জন্য ড. কামাল হোসেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ওই সময় দর্শক সারি থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে উঠেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া- লও লও লও সালাম।’ স্লোগানের সময় কামাল হোসেন বক্তব্য থামিয়ে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ সময় দর্শক সারির প্রথম লাইন থেকে বলা হয়, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, এ কথা বলতে হবে।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই নেতাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন। তবে এরপরও কয়েক সেকেন্ড স্লোগান চলে।

পরে কামাল হোসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি না করতে নেতাকর্মীদের আদেশ দেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। জাদুঘরে গিয়ে দেখেন- বঙ্গবন্ধু যে জাতির পিতা, উনার নেতৃত্বে যে স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই মর্যাদা নিয়ে উনি এখনো আছেন এবং থাকবেন। উনাকে নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না।’

এদিকে এ ঘটনার পর পরই আট মিনিটের মাথায় তার কানে কানে এসে কথা বলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু।

এ সময় তিনি মন্টুকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘কোনো কিছু বলব না আমি। যা বলেছি এইটুকুই বলবো। আমি কিছুই বলব না। আমাকে আপনারা কানে কানে কেন কিছু বলার চেষ্টা করছেন।’ আর আমি তো সকল বক্তার বক্তব্যেকে সমর্থন জানিয়েছি। তবে মন্টু ড. কামাল হোসেনের কানে কী কথা বলেছেন তা শোনা যায়নি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে জোট করলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তিনি ও তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার এবং বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে প্রথমে আইনমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত