ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

ছোটখাটো শারীরিক সমস্যার সমাধান

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১১ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

 

দৈনন্দিন জীবনে সমস্যার অন্ত নেই। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে হঠাৎ করেই শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে আমাদের বেশ ঝক্ক্বি-ঝামেলা পোহাতে হয়। 

তবে কিছু বিষয় জেনে রাখলে এসব ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা আপনাকে কাবু করতে পারবে না।

যেমন- দাঁড়িয়ে না খেয়ে বসে খাবার খেতে হবে। কারণ যদি আপনি দাঁড়িয়ে খাবার গ্রহণ করেন তবে সেটি সোজা গিয়ে পাচনতন্ত্রে আঘাত করবে। এতে অর্শ্ব বা পাইলস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

(১) দাঁতের ব্যাথায় অনেকেই কষ্ট পেয়ে থাকেন। এ সময় করণীয় কী তা হয়ত অনেকেরই অজানা! এ সময়ের সহজ ঘরোয়া সমাধান হলো পেঁয়াজ। কারণ পেঁয়াজ দিয়ে খুব সহজে দাঁতের ব্যথা সারাতে পারেন। যে দাঁতে ব্যথা হবে সে দাঁত দিয়ে পেঁয়াজ চিবুতে পারেন বা পেঁয়াজ কেটে ব্যথা দাঁতের ওপর ধরে রাখতে পারেন। পেঁয়াজের অ্যান্টিসেপটিক গুণ দাঁতের ব্যথা মুহূর্তেই কমিয়ে দেবে।

(২) শীতকালে বাজারে অহরহ বাঁধাকপি পাওয়া যায়। এ বাঁধাকপি ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমারের বৃদ্ধিও রোধ করে তাকে বাঁধাকপি। এছাড়াও গলা, বুক জ্বলা , পেটে সমস্যার জন্য বাঁধাকপি খুবই উপকারি। তাই শীতকালে খাবারের তালিকায় বাঁধাকপি রাখার চেষ্টা করুন।

(৩) অনেকেরই বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। যেকোনো কারণেই বমি বমি ভাব হতে পারে। বাসে উঠলে এ সমস্যা আরো বেড়ে যায়। যখন বমি বমি ভাব হবে তখন একটু আদা চিবুতে থাকবেন। অথবা আদার রসের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে বমি বমি ভাব অনেক কমে যাবে।

(৪) যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে পানিতে ঢেঁড়শ ভিজিয়ে রেখে আঠালো পানি পান কেরুন। কারণ ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে ঢেঁড়শর পানি খুবই উপকারি।

(৫) পেঁয়ারার গুণ সম্পর্কে সকলেরই জানা রয়েছে। পেঁয়ারা পাতাও অনেক উপাকারি। কারণ পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এ ছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, বার্ধক্য রোধ করে, সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করা থাকে। এ ধরণের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে বা রস করে খেতে পারেন।

(৬) কাঁচা ছোলার সঙ্গে কাঁচা আদা রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে চিবিয়ে খান। কারণ কাঁচা ছোলায় রয়েছে আমিষ ও অ্যান্টি বায়োটিক। আমিষ মানুষের শরীরকে স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী করে। আর অ্যান্টিবায়োটিক নানা রকমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই নিয়মিত এ দুটো উপাদান খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

(৭) খাবার গ্রহণের সময় ঠিক রাখুন। দিনের বেলা সকালের খাবার তাড়াতাড়ি খেতে হবে আবার রাতের বেলা নয়টার মধ্যে খেতে হবে। কারণ অধিক রাতে খাবার খেলে হজমে সমস্যা হবে। আর রাতে বেশি ক্ষুধা পেলে হালকা গরম দুধ খেতে পারেন।

(৮) যদি শরীরের কোথাও কেটে যায় তবে সেখানে তাড়াতাড়ি চিনি দিয়ে দিতে হবে। তবে অনেক জলদি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাবে। কারণ চিনি ক্ষতস্থানের অতিরিক্ত পানি শোষণ করে নেয়। আর অল্প সময়ের মধ্যেই কাটা স্থান শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে থাকে। তাই কোথাও কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিনি দিয়ে দিন।

(৯) ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা আমাদের চুল, চোখ, ত্বক ও লিভার গঠনে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ডিমে রয়েছে নানা রকম ভিটামিন। যা আমাদের শরীরের মাংসপেশি ও নার্ভাস সিস্টেমকে উন্নত রাখতে সাহায্য করে।

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত