বডি বিল্ডার ‘অরল্যান্ডো ঘাতক’ মতিন
চেয়েছিল পুলিশ অফিসার হতে!
বিদেশ ডেস্ক

সেলফিতে মনোযোগী ওমরা মতিন -ফাইল ফটো
সে ছিল একজন বডি বিল্ডার, সিকিউরিটি গার্ডও ছিল- আন্তর্জাতিক বেসরকারি নিরপত্তাসেবা প্রতিষ্ঠান জিফোরএস-এ চাকরি করতো। সংবাদ সংস্থা এমন সব তথ্য দিয়ে আরও জানিয়েছে, সে ছিল ধার্মিকও এবং হতে চাইতো একজন পুলিশ অফিসার।
তার নাম মতিন, ওমর মতিন, বয়স ২৯, আফগান বংশোদ্ভূত, তার পিতা সাদিক মির মতিন আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে স্থায়ী হন- সে সূত্রে মতিনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রেই।গত শুক্রবার ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর নাইটক্লাবে গুলিবাজী করে অর্ধশত মানুষেকে হত্যা করে পুলিশের গুলিতে মারা যায় মতিন। তার গোলাগলিতে আহত হয় আরও ৫৩ জন।
সিটি ইসলামিক সেন্টারে সপ্তাহে তিন-চারদিন সান্ধ্যকালীন প্রার্থনায় সে আসতো বলে জানান সিটি ইসলামিক সেন্টারের ইমাম সৈয়দ শফিক রহমান। তিনি জানান, গত শুক্রবার মতিনকে সর্বশেষ দেখেছিলেন। তিনি বলেন, সে খুব একটা সামাজিক ছিল না, তবে আচরণে কোনো উগ্রতাও প্রকাশ করতো না। নামাজ শেষ করে সে স্রেফ বের হয়ে যেত। কারও সঙ্গে বাতচিত করতো না, চুপচাপ থাকতো, খুব শান্তশিষ্ট ছিল।
তবে একসময়ে ঘরের বউ, মতিনের স্ত্রী (অনানুষ্ঠানিক বিচ্ছেদে থাকা) সিতোরা ইউসুফির ভাষ্যে, মতিন ছিলেন মানসিকভাবে অস্থির ও অসুস্থ। কলোরাডোয় সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় সিতোরা আরও জানান, সে ছিল দ্বিমেরু স্বভাবের। অত্যাচার করতো। ছোটখাটো বিষয়ে মারপিট করতে চাইতো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাইস্পেসে তাদের পরিচয়। প্রেমঘটিত বিয়েতে তারা সংসার করেছেন মাত্র চার মাস। গ্রুপ ফোর সিকিউরিটাস (কোম্পানিটি তাদের ওয়েবসাইটে নিজেদের পরিচিতি দিয়ে থাকে এই স্লোগানের মাধ্যমে- ‘দ্য লিডিং গ্লোবাল ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি কোম্পানি’, বাংলাদেশেরও তাদের শাখা আছে) নামের আন্তর্জাতিক বেসরকারি সিকিউরিট প্রতিষ্ঠানের কর্মী মতিন পুলিশ কর্মকর্তা গতে চেয়েছিল। এজন্য সে পুলিশ একাডেমিতে আবেদনও করে।
এদিকে, আইএস বা দায়েস অরল্যান্ডো হত্যাকাণ্ড ঘটানো মতিনকে নিজেদের লোক দাবি করলেও সাবেক স্ত্রী সিতোরা ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন- আইএসের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও এফবিআই তাকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সহকর্মীকে বিদ্বেষাত্মক মৌখিক আক্রমণের দায়ে। আরেকবার এক সুইসাইড বোমাবাজের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে। তবে প্রমাণের অভাবে প্রবিারই সে ছাড়া পায়। সে সূত্রে তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নাই পুলিশের খাতায়।
তার বাবা সাদিক মীর একজন বীমা পলিসি বিক্রেতা। এছাড়া টেলিভিশনে টক শো উপস্থাপন করেন যাতে পাকিস্তান বিরোধী অবস্থান আছে তার। ২০১০ সালে ডুরান্ড জিরগা নামে গ্রুপ গড়ে তোলেন। এই ‘ডুরান্ড শব্দটি এসেছে বহুল বিতর্কিত চর্চিত আফগান-পাকিস্তান বর্ডারের ডুরান্ড লাইন থেকে।
সাবেক এক আফগান কর্মকর্তার মতে- ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক পায়াম-এ-আফগান নামের যে চ্যানেল ডুরান্ড জিরগা শো প্রচার করে, তাদের সঙ্গে আফগান তালেবানদের নৃতাত্ত্বিক ঐক্য রয়েছে। ডুরান্ড জিরগা শো পাকিস্তান বিরোধী একটা অবস্থানে থে তালেবানদের সমর্থন করে থাকে। তারা আফগানিস্তানে বিদেশি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ করে। এবং সেখানে মার্কিণ সামরিক তৎপরতার বিরু্দ্ধেও কথঅ বলে। এপিপি, এমিরেটস২৪/৭
নিউজওয়ান২৪.কম
- বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম নারী শেখ হাসিনা
- সিরাজুল আলম খান রহস্য, একটি রাজনৈতিক বিতর্ক
- ঘটনা গুরুতর: প্রধান বিচারপতির উত্তরের আশায় পুরো বাংলাদেশ!
- পিরিয়ডের সময় যে খাবারগুলো ক্ষতিকর
- ‘ডোপ টেস্ট’ কী? জেনে নিন...
- দুর্লভ সাদা গোখরাটি জ্যান্ত গিলে খেল অপর সাপকে! (ভিডিও)
- মইনুলকে জানি না তবে মাসুদা ভাট্টি চরিত্রহীন: তসলিমা
- আহ! কাকের বাসা
- উন্মাদের পরিবেশ সচেতনতা কার্টুন প্রদর্শনী শুরু
- র্যাবের নয়া এডিজি কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পিএসসি
- ৫ বছর আগের কার্টুনের বক্তব্য...
- বিবস্ত্র হয়ে ঘর পরিষ্কার, অতঃপর...
- কেমন যাবে আপনার আজকের দিন
- গরীবের কংকাল ঢাকে ধনবানের স্ফীত উদর!
- রওশনের বাবা নাকি এরশাদ?- প্রথম আলো