রাতের খাবার
ঘুমানোর কতক্ষণ আগে খাবেন?
নিউজ ডেস্ক

ফাইল ছবি
রাতের খাবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার মাঝে কতটুকু তফাৎ রাখা উচিত তা অনেকেরই অজানা। কিন্তু মাঝের সময়টা কেনো রাখা হয় তা জানা জরুরী।
জেনে নিন ডায়েটিশিয়ানদের মতামত-
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনি কি করেন? হয়তো বই পড়া, ম্যাগাজিন, টিভি, পত্রিকা, বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে খোশগল্প অথবা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। রাতে শরীরের এক্টিভিটি লেভেল একেবারেই কম থাকে। আবার সঙ্গে মেটাবলিজম রেট ও হজম শক্তি কমে যায়। কিন্তু বর্তমানে এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ১১টা বা ১২টার তার আগে রাতে খাবার খাওয়ার কথা অনেকেরই চিন্তার বাইরে।
মূলত এমনটা হয় বিকেলে ভারী নাস্তা গ্রহণের ফলে যেমন- চানাচুর, চিপস, তেলেভাজা, সমুচা, সিঙ্গারা পুরি, চিকেন ফ্রাই সহ মিষ্টান্ন ইত্যাদি খাবার পর রাতে খাবারের খিদেটাই কমে আসে। এ জন্য রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। এতে মনে হতে পারে ক্ষতি কি? হয়তো আপনার কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু অসুবিধা হয় আপনার পেটের। ওভারলোডিং এর ফলে পেট খাবার হজম করতে পারে না। তাই প্রত্যেকের উচিত রাত ৮ টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলা। যদি পরবর্তীতে খিদে পায় তবে হালকা কিছু খাওয়া।
খাবার হজম হওয়ার প্রকিয়ার মাধ্যমে ক্যালোরি বার্ন হয়। রাতে শরীরের কোষগুলো এনার্জি বা নিউট্রিয়েন্ট শোষণ করতে অনেক বেশি সময় নেয়। কারণ এই সময় এনার্জি খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। তাই বিকেলের নাস্তা আবার দেরি করে রাতের খাবার খেলে পেটের উপর বেশি চাপ পড়ে। ঘুমের আগের সব খাবার তো হজম হয় না উল্টো ফ্যাট হিসাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হয়। সে আপনি যতই পুষ্টিকর অথবা হেলদি খাবার খান তবুও চর্বিগুলো শরীর জমে যায়। এতে আপনি অতি দ্রুত মুটিয়ে যান। আর সবচেয়ে বাজে অভ্যাস হলো প্রচুর খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া। খালি পেটে যেমন ঘুম আসে না ঠিক তেমনি বেশি খেলে ঘুম ভালো হয় না।
ক্যালোরি বার্নের জন্য ঘুম প্রয়োজন। আমরা যখন ঘুমায় তখন বডি সেল রিপেয়ার্ড হয়। (ঠিক যে কারণে রাতে মুখে দামি ক্রিম লাগান ফেয়ার্নেস এর জন্য) হরমোনাল ব্যালান্স ভালো হয়, সেল রিজুভিনেশন হয় পরের দিনের জন্য আমাদের শরীর তৈরি হয়। ঘুম ভালো না হলে হরমোন বা লিন টিস্যু ফ্যাট বার্নিং প্রসেসকে সাপোর্ট করতে পারে না। রাতে ঘুমানোর সময় শরীরের একমাত্র কাজ ‘রিপেয়ার এন্ড রিজুভিনেট’।
যদি বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে শরীর দোটানায় পড়ে যায় অস্বস্তি বোধ হয়। খাবার হজম হতে অনেক দেরি হয়। ফলে সেল রিপেয়ার করবে নাকি হজম করবে সেটা বুঝতে পারে না। সকালের ঘুম থেকে উঠে শুধু ক্লান্ত লাগে পেট ফুলে যায়, এসিডিটি বাড়ে, ঢেঁকুর আসে। সকালে ফ্রেশ আর শরীর হালকা লাগার বদলে জড়তা ও অলস অনুভব হয়।
নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ
- অ্যাজমা চিকিৎসায় হোমিও সমাধান
- ছেলেদের যে অঙ্গগুলো পছন্দ মেয়েদের
- কুমারীত্ব...
- ঝাড়-ফুঁকে সাপ কামড়ানো রোগী ‘ভালো হয় যেভাবে’
- যৌনমিলন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- স্ত্রী হিসেবে মোটা মেয়েরাই ভালো!
- আকষ্মিক হার্ট অ্যাটাক! অন্যের সাহায্য ছাড়াই যেভাবে বাঁচাবেন নিজকে
- প্রয়োজনীয় যে সব ওষুধ...
- অলস বাবুদের জন্য সুখবর: আসছে কাপড় ভাঁজ করার মেশিন!
- যৌনতা বিষয়ে যে জিনিসগুলো জেনে রাখা জরুরি
- নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল
- আফ্রিকার ‘যমরাজ’ ব্লাক মাম্বা
- শারীরিক মিলনের পর করণীয় কিছু...
- টাইফয়েডের নতুন টিকায় ১০ জনের ৯ জনই বাঁচবে
- শিশুকে ফ্লাইং কিস: আমিরাতি তরুণের জেল