কারো প্রতি অহেতুক মন্দ ধারণা পাপ
ফাইল ফটো
মানুষের প্রতি মানুষের ভালো ধারণা ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করে। মানুষে মানুষে দূরত্ব কমিয়ে কাছাকাছি নিয়ে আসে। আর মন্দ ধারণায় তৈরি হয় এর উল্টো চিত্র। তৈরি হয় মানুষের সাথে মানুষে শত্রুতা।
মন্দ ধারণা অন্যায় ও অপকর্মের দিকে মানুষকে ধাবিত করে। এর সঙ্গে সম্পৃক্তরা গুনাহগার হয়ে থাকে। ভালো মানুষ সবসময় সুচিন্তা নিয়ে চলবে, এটা ইসলাম উৎসাহ দেয়। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের যেনো মন্দ ধারণা না থাকে এটাই ইসলাম প্রত্যাশা করে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘সুন্দর ধারণা সুন্দর ইবাদতের অংশ’ (আবু দাউদ ৪৯৯৩)।
পক্ষান্তরে কুধারণা মোটেও কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। মন্দ ধারণা পোষণকারী ব্যক্তি হিংসা-বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব-কলহে ইন্ধন যোগায়।
এ জন্য আল্লাহ মন্দ ধারণাকে হারাম করেছেন, মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘তোমরা মন্দ ধারণা থেকে বেঁচে থাক’ (বোখারি ৬০৬৪)।
মন্দ ধারণার কুফল সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না, তিনিই সর্বাধিক অবগত যে, কে বেশি পরহেজগার’ (সূরা: নাজম, আয়াত: ৩২)।
মানুষ সম্পর্কে মন্দ ধারণা ধ্বংসমুখী করে, মানুষকে বিপথে পরিচালিত করে, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন,
بَلْ ظَنَنتُمْ أَن لَّن يَنقَلِبَ الرَّسُولُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَىٰ أَهْلِيهِمْ أَبَدًا وَزُيِّنَ ذَٰلِكَ فِي قُلُوبِكُمْ وَظَنَنتُمْ ظَنَّ السَّوْءِ وَكُنتُمْ قَوْمًا بُورًا
অর্থ: ‘বরং তোমরা ধারণ করেছিলে যে, রাসূল ও মুমিনগণ তাদের বাড়ী-ঘরে কিছুতেই ফিরে আসতে পারবে না এবং এই ধারণা তোমাদের জন্যে খুবই সুখকর ছিল। তোমরা মন্দ ধারণার বশবর্তী হয়েছিলে। তোমরা ছিলে ধ্বংসমুখী এক সম্প্রদায়। (সূরা: ফাতহ, আয়াত: ১২)।
আবু হাতেব ইবনে হিববান আল বাসাতি (রা.) বলেন, ‘জ্ঞানীদের ওপর আবশ্যক হলো অপর মানুষ সম্পর্কে মন্দ ধারণা থেকে নিজেকে পূর্ণভাবে মুক্ত রাখা। যে অন্য মানুষ সম্পর্কে মন্দ ধারণা করে, তার অন্তর মরে যায়, আত্মিক অশান্তি বেড়ে যায় এবং তার অন্যায় কাজও বেড়ে যায়’ (রওয়াতুল উক্বালা, পৃষ্ঠা- ১৩১)।
মুহাম্মদ (সা.) মানুষের দোষ ও ছিদ্রান্বেষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি মানুষকে নিজ নিজ দোষ সংশোধনে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহর কাছে যে সব কথাবার্তার মূল্য নেই তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘ওহে যারা মুখে ঈমান এনেছ, অথচ এখনও অন্তরে ঈমান আননি। তোমরা মুসলিমদের নিন্দা করো না, তাদের ছিদ্রান্বেষণ করো না। যে ব্যক্তি অপরের দোষ খুঁজে আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করেন। আর আল্লাহ যার দোষ তালাশ করেন, তাকে তার নিজ বাসগৃহেই অপদস্ত করেন’ (আবু দাউদ- ৪৮৮০)।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে অপরের সম্পর্কে মন্দ ধারণা থেকে মুক্ত করে ভালো ধারণা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরএডব্লিউ
- যে দোয়ায় গলার কাঁটা নেমে যাবে ইনশাল্লাহ!
- ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল
- দরুদে ইব্রাহিম
- মা-বাবার জন্য দোয়া
- তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ
মসজিদে ঢুকেই দু’রাকাত নামাজ... - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি...
- দরুদে ইব্রাহিম
- কোরআন হাদিসের আলোকে জুমা’র দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- ঋণ মুক্তির সর্বোত্তম আমল
- ফজিলতপূর্ণ কিছু দোয়া ও আমলসমূহ
- পবিত্র কোরআনের তথ্যকণিকা
- জুমার দিনের ৩ আমল
- হযরত আদম আ. এর বিয়ের মহর কত ছিল!
- ফেরেশতা পরিচিতি...
- ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে’