ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

ওজন বাড়াতে...

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ৬ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

 

কারো ওজন বেশি তো কারো আবার কম। কেউ স্বল্প খাবার খেয়ে ওজন কমাতে চায় কেউ আবার বেশি খেয়ে ওজন বাড়াতে চায়। ওজন নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই!

অনেকেই হয়তো ভাবেন ওজন তো বেশি খেলেই বেড়ে যায়। এটি ভুল ধারণা। খাবার বেশি নয় বরং পুষ্টিকর খাবার খেলেই মেদ যুক্ত করা যায় শরীরে। একজন পরিণত মানুষের ওজন যদি স্বাভাবিকের থেকে কম হয় তবে এই ওজনজনিত সমস্যায় ভুগতে হয়। এই সমস্যার ক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। জেনে নিন ওজন বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন-

(১) স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে হবে। রোগা হওয়া বা দেহের ওজন দ্রুত কমে যাওয়ার একটা অন্যতম কারণ হলো স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। যা এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। ওজন কমার হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক চাপ বা টেনশন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রতিদিন মাত্রে ১৫ মিনিট সময় ধরে মেডিটেশন করতে পারেন। এতে মস্তিষ্ক শান্ত হবে। এছাড়া দুপুরে আরাম করে দুই ঘণ্টা সময় ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এতেও খুব ভালো ফল পাবেন।

(২) পিনাট বাটার হাই ক্যালরিযুক্ত একটি খাবার। তাই প্রতিদিন ব্রেড, চালের রুটি বা বিস্কুটের সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন। এতে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে পিনাট বাটার খাওয়া শুরু করতে হবে ও প্রতিদিন এটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

(৩) ড্রাই ফ্রুটসে ক্যালরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই কাজু, কিসমিস ও কাঠবাদাম খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবণা বেড়ে যায়। নিয়মিত সকালের খাবারের সঙ্গে ১০ থেকে ১২টি কাঠবাদাম, কাজু, কিসমিস বা খেজুর খাওয়া শুরু করতে হবে। তবে খেতে হলে রাতে ঘুমানোর আগে হাফ কাপ পানিতে শুকনো ফলগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর এই ফলগুলো সারাদিনে তিনবার ভাগ করে খেলে খুব দ্রুত ফল পাওয়া যাবে।

(৪) ক্ল্যারিফাইড বাটার খেতে পারেন। এই উপাদান শুধু ওজনই বাড়াবে না। এটি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সরবরাহ করে থাকে। তাই ক্ল্যারিফাইড বাটার ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকরী। এক চামচ ক্ল্যারিফাইড বাটারের সঙ্গে এক চা চামচ পরিমাণ চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। এটা দিনে ও রাতে খাবারের ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। এভাবে এক মাস খেলে ওজন অনেক বেড়ে যাবে।

(৫) আলু কার্বো হাইড্রেড ও সুগারে পরিপূর্ণ একটি খাবার। ওজন বৃদ্ধি করতে এই উপাদানগুলো কাজ করে। এজন্য প্রতিদিন দু’বার খাবারে সেদ্ধ আলু খেতে হবে। এছাড়া আলু চিপস অলিভ অয়েলে ভেঁজে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এগুলো দুই মাস নিয়মিত খেলেই পার্থক্য নিজের চোখেই ধরা পড়বে।

(৬) ডিম ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই ভরসাযোগ্য একটি উপাদান। এর প্রোটিন, ফ্যাট ও অন্যান্য ক্যালরি দেহের জন্য খুবই উপকারি। তাই ওজন বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি ডিম খেতে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ফল পেয়ে যাবেন। ওজন বৃদ্ধি করা ওজন কমানোর থেকে অনেক সহজ। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক ডায়েট করা।

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত