এরা হুট করেই অদৃশ্য হয়
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
স্কুইড কিংবা অক্টোপাস, গভীর নীল জলের আশ্চর্য প্রাণী। এদের রয়েছে চোষক হাত, যার সাহায্যে এরা ক্ষিপ্রতা আর ধূর্ততার সাথে শিকার ধরে ফেলে অথবা আত্মরক্ষায় ছড়িয়ে দেয় নিকষ কালি। শত্রুর চোখে ধুলো দিতে ওস্তাদ এই প্রাণী বিপদ দেখলেই পানিতে রং ছড়িয়ে দেয়। কিংবা সৃষ্টি করে আলোর বিভ্রম। ফলে শিকারিরা দেখতে পায় না, এই সুযোগে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে পারে। নিউজওয়ান২৪ এর আজকের আয়োজন হুট করে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে এমন দুটি প্রাণীকে ঘিরে।
গ্লাস অক্টোপাস
ছদ্মবেশ ধারণে প্রাণী জগতে সবচেয়ে কৌশলী হলো অক্টোপাস। সেকেন্ডের দশ ভাগের তিন ভাগ সময়ে নিজের শরীরের রঙ পরিবর্তন করতে পারে এরা। এছাড়া, সমুদ্রের তলদেশের বিভিন্ন শৈবাল পাথর কিংবা কোরালের মতো করে নিজেকে উপস্থাপন করতেও এদের জুড়ি নেই।
সমুদ্র পৃষ্ঠের কাছাকাছি যখন এরা চলে আসে তখন শিকারীর কাছ থেকে লুকাতে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় আলোর ঝলকানি প্রদর্শন করে। বায়োলিউমিনিসেন্স নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়ায় প্রাণিগুলো তখন শিকারীদের সামনে বিভ্রম সৃষ্টি করে। আর শিকারীরা ভাবে তার শিকারটি নেই।
এই উপায়ে নিজেকে অদৃশ্য করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণির একটি গ্লাস অক্টোপাস (ভিত্রেলেলোনেলা রিচার্ডি)। প্রাণিটি তার জেলির মতো নরম-আঠালো শরীরকে প্রয়োজনে ৪৫ সেন্টিমিটার (১৮ ইঞ্চি) পর্যন্ত প্রসারিত করে। বিপদ দেখলে এটি পরিপাকতন্ত্র এবং চোখ ও এর অপটিক স্নায়ু ছাড়া সম্পূর্ণ শরীরটিকে শত্রুদের কাছে প্রায় অদৃশ্য করে ফেলে।
এক্ষেত্রে এটি শিকারিদের চোখে খুব প্রবলভাবে পড়ার সম্ভাবনায় থাকা তার পেরিফেরিয়াল দৃষ্টিকে হ্রাস করে। কিন্তু শরীরকে এমনভাবে সাজায় যেন ছায়াটিকে ছোট করা যায়। ফলে নিজেরা শিকারিদের শনাক্ত করতে পারলেও শিকারিরা তাদেরকে দেখতে পায় না।
গ্লাস স্কুইড
গ্লাস অক্টোপাসের মতোই গ্লাস স্কুইডের দেহও কাচের মতো স্বচ্ছ। এছাড়াও প্রাণীটি বিশেষভাবে আলো প্রতিসরণ করতে পারে, তাই শিকারি প্রাণী থেকে সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে থাকে গভীর সাগরের প্রাণীটি। ক্রান্তীয় সাগরের ২০০ মিটার গভীরে এদের বসবাস। সবচেয়ে বিস্ময়কর এদের আকৃতি। প্রাপ্তবয়স্ক একটি গ্লাস স্কুইড দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন, স্কুইড বিশেষ প্রক্রিয়ায় যে আলো সৃষ্টি করে তা বিস্ময়করভাবে চারদিকের অন্য আলোর সঙ্গে মিশে যায়। তখন এমন একটি বিভ্রম তৈরি করে যা দেখে মনে হয় আলোটি চতুর্দিক থেকে আসছে। এতে প্রাণিটির একটি ছদ্মবেশ তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, গ্লাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৬০ প্রজাতির স্কুইড রয়েছে। সমুদ্রের ২০০ থেকে ১০০০ মিটারের মধ্যে 'মহাজাগতিক' অঞ্চলে বসবাস করে এরা।
নিউজওয়ান২৪/টিআর
- বাঙালির বংশ পদবীর ইতিহাস
- গন্ধভাদালি লতার উপকারিতা
- ‘ময়ূর সিংহাসন’
- মিশরীয় সভ্যতা এবং নীল নদ
- মধ্যযুগের ইতিহাস
- ব্যবহারের আগে জানুন প্লাস্টিক বোতলে চিহ্নের মানে কী
- পবিত্র কাবা শরীফের অজানা যত তথ্য
- হ্যালুসিনেশন আসলে কী, রোগ না অন্য কিছু?
- পিরামিডের অজানা তথ্য…
- বিকাশ নগদ এবং রকেট’র ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পাবেন যেভাবে
- চুম্বকের আদ্যোপান্ত...
- ‘চুম্বন’ আদর ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
- ‘রক্ত’ রঙের রহস্য...
- ‘ধানমন্ডি’ নামকরণের ইতিহাস
- মানুষের পর বুদ্ধিমান প্রাণী...