‘এই তো শেষবার’ আর চট্টগ্রামে যাবেন না বাচ্চু

গিটার জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু। ৩৫ বছর আগে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়েছিলেন তিনি। আজ শেষবারের মতো সেই পুরোনো ঠিকানায় ফিরছেন বাচ্চু। আর কখনই আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবেন না তিনি।

যে শহরটার অলিগলিতে গিটার বাজিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন, সে শহরেই আজ শেষবারের মত শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী। এদিকে, আইযুব বাচ্চুর পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ সড়কপথে নেয়ার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।

সকাল ১০টায় ইউএস বাংলার বিমানে মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে নানারবাড়ি মাদারবাড়ি এলাকায়। এখানে তার একান্ত আত্মীয়-স্বজনরা তাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাবেন।

এরপর লাশ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজার জন্য নেয়া হবে। সেখানে আছরের নামাজের আগ পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের জন্য রাখা হবে। পরে জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চৈতন্যগলি পাঁচমহল্লা কবরস্থানে মায়ের পাশে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

এদিকে, আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ বিদায় জানাতে চট্টগ্রামেও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তার দাফন-কাফনের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এরই মধ্যে চৈতন্যগলির বাইশ মহল্লা কবরস্থানে কবর খোঁড়ার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

সেখানে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা। শেষবারের মতো তাকে একনজর দেখতে উদগ্রীব চট্টগ্রামের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তকুল।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেয়া হয় তার গানের স্টুডিও মগবাজারে ‘এবি কিচেন’-এ। এরপর মরদেহ নেয়া হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে লাশ নেয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে।

তাছাড়া আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে খোলা হয়েছে শোক বই। শুক্রবার সকালে এ বই রাখা হয়। যেখানে ভক্তরা লাইন ধরে বিভিন্ন আবেগঘন মন্তব্য লিখছেন।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস