ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

এ যেন বর্ণহীন এক পহেলা বৈশাখে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০০, ১৪ এপ্রিল ২০২১  

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

পহেলা বৈশাখ মানেই শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে মেলায় যাওয়া। পহেলা বৈশাখ মানেই পান্তা-ইলিশ খাওয়া। পহেলা বৈশাখ মানেই রমনা বটমূলে গানের উৎসব, চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা, হালখাতা, দেয়াল ও সড়কে আলপনাসহ উৎসবের আমেজ। তবে করোনা মহামারীর কারণে গত দু’বছর ধরে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

করোনা সংক্রমণ রোধে আজ (বুধবার) থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে উৎসবের এলাকাগুলো ছিল জনমানবশূন্য। এ যেন কোথাও কেউ নেই।

বুধবার পহেলা বৈশাখে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় রাজধানীর পার্কগুলোতে প্রতিদিন সকালে যে স্বাস্থ্যসচেতন নাগরিকরা শরীরচর্চা করেন তারাও অনুপস্থিত।

১৪-২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা, এই কয়দিন কী করা যাবে, বিশেষ ছাড়ে কী কী করা যাবে—এ বিষয়ে সোমবার (১৩ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপনে জারি করা হয়। সেখানে বলা আছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরেবের হওয়া যাবে না।

রবীন্দ্র সরোবরের পাশ দিয়ে মাস্ক পরে হেঁটে যাচ্ছিলেন সামিন। কেন বেরিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, ঠিক উল্টোদিকেই থাকেন তিনি। বছরের প্রথম সকাল গানের সুরে শুরু হয়। গতবছর থেকে এত নীরবে বৈশাখের দিনটা আসে, ভালো লাগে না। তাই একটু লেকে এসেছেন। এরপরে আর হয়তো বের হবেন না। রমনায় গিয়ে কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি। বটমূল এলাকা দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে।

বটমূলে সরাসরি না হলেও এবারও ধারণকৃত পুরনো অনুষ্ঠান ও নতুন কিছু গানের মাধ্যমে ৫০ মিনিটের আয়োজন ছিল ছায়ানটের। বছর শুরুর দিন সকাল ৭টা থেকে বিটিভিসহ ছায়ানটের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে একযোগ প্রচার করার কথা আগেই জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

আর চারুকলায় নেই এবার মঙ্গল শোভাযাত্রা। ফাঁকা ফুটপাতে নেই লাল নীল কাঁচের চুড়ি, নেই ফুল আর বাতাসার ভ্যান। ইন্সটিটউটের বাইরের দেয়ালের নতুন পটচিত্র যেন জানান দিচ্ছে আজ বৈশাখ।

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত