‘আনফ্রেন্ড করুন, ব্লক করুন-রিপোর্ট করুন’

নওশাবা আহমেদ। কিছুদিন আগে নিরাপদ সড়কসহ কয়েকটি দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পান এই অভিনেত্রী।

তবে এই নায়িকার হাজতবাসের একমাত্র কারণ ছিল, ফেসবুক। তাই এরপর থেকে এই মাধ্যমের প্রতিও বেশ তিক্ত নায়িকা। ফলে জেল থেকে বের হওয়ার পর আর ফেসবুকে দেখা যায়নি তাকে।

এদিকে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে হাজির হয়েছেন নওশাবা। তবে আসল নয়, নকল কেউ তার নাম দিয়ে আইডিটি ব্যবহার করছেন বলে জানান তার স্বামী এহসান রহমান জিয়া। তিনি ১১ অক্টোবর তার ফেসবুকের ওয়ালে একটি স্ট্যাটাসে দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সেখানে তিনি লেখেন, কেউ একজন আমার ওয়াইফ নওশাবার নামে একটা ফেক আইডি তৈরি করেছে। সে মিডিয়ার অনেককেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে। অনেকেই এটাকে নওশাবার আসল আইডি ভেবে সেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণও করেছেন, করছেন।

যারা এরই মধ্যে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করেছেন প্লিজ এখনই আনফ্রেন্ড করুন। আইডিটাকে ব্লক করুন, রিপোর্ট করুন।

নওশাবা এই মুহূর্তে নিজস্ব কোনো ফেসবুক আইডি ব্যবহার করছে না জানিয়ে জিয়া আরো লিখেন, সে কোনো ইমেইল ও ফোন ব্যবহার করছে না। কাজেই আমার ফোন নম্বর বা আমার ফেইবুক আইডি ছাড়া ওর নামে কেউ আপনাদের কারো সঙ্গে ফেইবুক, ই-মেইল কিংবা ফোনে, এসএমএসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বুঝে নেবেন সেটা ফেক!

আমার কাছেও জেনে নিতে পারেন এই ধরণের কোনো রিকোয়েস্ট পেলে।

এদিকে ১৪ অক্টোবর আরেক পোস্টে এহসান রহমান জিয়া লিখেছেন, নওশাবার পক্ষ থেকে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনে এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

তাছাড়া ফেসবুকে ইংরেজি অক্ষরে নওশাবা আহমেদ লিখে সার্চ করলে যে তিনটি ফেসবুক-আইডি শো করে, তার সবকটিই ভুয়া। আইডিগুলো যেহেতু এখনো অ্যাক্টিভ দেখছি, সবাইকে এই ধরণের আইডির ব্যাপারে সতর্ক করতে আমার আগের পোস্টটা আবারো শেয়ার করছি।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর উত্তরা থেকে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নওশাবাকে ৪ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। ৫ আগস্ট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)-১-এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।

এরপর ৫ আগস্ট ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নওশাবার ৪ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় আবারো রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গ্রেপ্তারের ১৬ দিনের মাথায় নওশাবা জামিন পান। বর্তমানে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন নওশাবা।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস