অস্ত্রসহ আটক যুবলীগ নেতা খালেদ: এত কিছু ছিল তার নিয়ন্ত্রণে!
স্টাফ রিপোর্টার

গুলশানের বাড়িতে দীর্ঘ অভিযানের পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাব। আজ (বুধবার) রাতে তাকে তার গুলশানের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আজ সন্ধ্যায় খালেদের গুলশান-২ এর ৫৯ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব। তবে তার আগে দুপুর থেকেই বাড়িটি ঘিরে রাখে শতাধিক র্যাব সদস্য।
র্যাব লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একইসময় ঢাকা দক্ষিণ এলাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে পরিচালিত অবৈধ ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় রর্যাবের অপর একটি দল। এসময় ওই ক্যাসিনোর ভেতর থেকে ১৪২ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। সেখানে অভিযান শেষ করার পরই খালেদের বাড়িতে ঢুকে র্যাব। ক্যাসিনোটির মালিক যুবলীগ নেতা খালেদ বলে জানায় একটি সূত্র।
যত অভিযোগ খালেদের বিরুদ্ধে
যেন অভিযোগের ডিপো একটা ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ‘ভূঁইয়া অ্যান্ড ভূঁইয়া’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে খালেদ তার ব্যবসা নামক যাবতীয় লুটপাটের কাজ। তার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। মতিঝিল-ফকিরাপুল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো থেকে শুরু করে কমপক্ষে সাতটি সরকারি ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি জমি দখলের মতো নানা অভিযোগ রয়েছে দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে, রয়েছে একাধিক মামলাও। রিয়াজ মিল্কি ও তারেক হত্যার পর পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেন খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ২০১২ সালের পর মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে ঢাকার এক অংশের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে খালেদের হাতে। নিজের সাম্রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করতেন বেপরোয়া স্বভাবের খালেদ।
বিভিন্নসূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মতিঝিল ও ফকিরাপুল থানা এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন যুবলীগ নেতা খালেদ। এর মধ্যে ১৬টি ক্লাব নিজের লোকজন দিয়ে আর ফকিরাপুল ইয়াং ম্যানস নামের ক্লাবটি সরাসরি তিনি পরিচালনা করেন। প্রতিটি ক্লাব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ টাকা নেন তিনি। এসব ক্লাবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে মুরু হয়ে পরদিন ভোর পর্যন্ত ক্যাসিনো বসিয়ে চলে হরেক পদের জুয়া।
এছাড়া খিলগাঁও-শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী লেগুনা ও গণপরিবহন থেকেও নিয়মিত চাঁদার টাকা পৌঁছে যেত খালেদের পকেটে। প্রতি কোরবানির ঈদে শাহজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া ও কমলাপুর পশুর হাট নিয়ন্ত্রণ হতো খালেদের ইশারায়। খিলগাঁও রেল ক্রসিংয়ে প্রতিদিন রাতে মাছের একটি হাট বসান এ নেতা। সেখান থেকে মাসে কমপক্ষে এক কোটি টাকা আদায় করেন তিনি। একইভাবে খিলগাঁও কাঁচাবাজার সভাপতির পদটিও দীর্ঘদিন তিনি ধরে রেখেছেন। শাহজাহানপুরে রেলওয়ের জমি দখল করে দোকান ও ক্লাব নির্মাণে আছেন তিনি।
৭ সংস্থার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মতিঝিল, শাহজাহানপুর, রামপুরা, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে যুবলীগ নেতা খালেদের হাতে। এসব এলাকায় থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যথাক্রমে রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (রাজউক), রেলভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার ফকিরাপুল জোনসহ বেশিরভাগ সংস্থার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে
- ‘ক্যাসিনো, জুয়া ও অশ্লীলতার নিয়ন্ত্রক সম্রাট’: খালেদ
- র্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়ার নয়া পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার
- বার্ন ইউনিটের স্বেচ্ছাশ্রমী ৬৮ কর্মচরীর যন্ত্রণা কে অনুভব করবেন!
- ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০২০’ শুরু আজ
- ২১ দিনের লকডাউনে ওয়ারীর একাংশ
- ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতির ছেলে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার
- হাতির ঝিলের পানিতে লাশ
- লাইভ ভিডিওতে কোরবানি, মাংস হোম ডেলিভারি দেবে ডিএনসিসি
- বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার, অভিযান সমাপ্ত
- ওয়াসা এমডি তাকসিমের জন্য জুরাইন থেকে এলো ‘শরবত-এ-কালাপানি’
- রাজধানীর মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুর মৃত্যু
- বিমানবন্দরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক উপজেলা চেয়ারম্যান
- ডিএনসিসির ১৮ ওয়ার্ডের উন্নয়নে চার হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প
- অস্ত্রসহ আটক যুবলীগ নেতা খালেদ: এত কিছু ছিল তার নিয়ন্ত্রণে!
- রাজধানীতে জঙ্গি সংগঠনের আমীরসহ গ্রেফতার চার