অবশেষে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে উড়লো জাতীয় পতাকা
কুয়েত প্রতিনিধি
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ০১:৩৪ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৯ বুধবার
বুধবার সকালে দূতাবাস ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা (নীল বৃত্ত চিহ্নিত) ছবি: নিউজওয়ান২৪.কম
উপসাগরীয় রাষ্ট্র কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে শেষ পর্যন্ত। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন ছিল জাতীয় পতাকা শূণ্য। বিষয়টি নিয়ে নিউজওয়ান২৪.কম-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দূতাবাস ভবনে জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট থেকে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থান পরিবর্তন করে। আগে দূতাবাসটি ছিল খালদিয়ায়। আগস্টের প্রথম দিন থেকে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয় মরুময় আর প্রায় জনহীন মেসিলা এলাকায়। এ বিষয়ে দূতাবাসের কাউন্সেলর আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সংশ্লিষ্টদের অবগতও করানো হয়। নয়া দূতাবাস ভবনের ঠিকানা হচ্ছে বাড়ি নং- ৯১ ও ৯৩, রোড নং-১৬, ব্লক নং ৭।
কিন্তু নয়া দূতাবাস ভবনে কাজ শুরু হলেও তাতে আজ সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নাই অজ্ঞাত কারণে। যা দেশি-বিদেশি সবার কাছেই দৃষ্টিকটু ঠেকছিল। এছাড়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা থাকলে নয়া অফিসের ঠিকানা খুঁজে পেতেও সুবিধা হতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের। বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণির বাংলাদেশি যারা কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মসূত্রে অবস্থান করছেন- তারা যখন জন্মসনদ, পাসপোর্ট, প্রবাসীসনদ ইত্যাদি প্রয়োজনে দূতাবাসমুখো হন তাদের দূতাবাস ভবন খুঁজে পেতে সুবিধা হয় পতাকার কারণে। দূতাবাস খুঁজতে গিয়ে সম্প্রতি অনেকেই পেরেশানিতে পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবাসী শ্রমিকদের অনেকে অভিযাগ করেন, দূতাবাসে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডদেরও দেখা যায় না সময়মতো ডিউটিতে। দরকারি কাজে যাওয়া প্রবাসীরা একারণেও বিভ্রান্তিতে পড়ছেন- একে তো পতাকা নেই, তার ওপর ভবনের সামনে সিকউরিটি গার্ডদের দেখা যায় না। এতে করে সাধারণ শ্রমিক শ্রেণির প্রবাসীরা কাউকে জিজ্ঞেসও করতে পারেন না যে ‘এটা কি বাংলাদেশ দূতাবাস’ কিংবা ‘ভাই, বাংলাদেশ দূতাবাসটা কোথায়?’
এ বিষয়ে আগের সংবাদটি পড়ুন কুয়েতে জাতীয় পতাকাহীন বাংলাদেশ দূতাবাস!
যা হোক, বুধবার সকালে শেষ পর্যন্ত দূতাবাসের ফ্লাগ স্ট্যান্ডে ফ্লাগ লাগানো হয়। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তারা এটাও বলেছেন, দূতাবাসকর্মীদের যে কাজে পাঠিয়েছে সরকার তারা যদি প্রবাসীদের সেবায় সেই কাজগুলো ঠিকমতো করে তবে তা দেশের জন্য ও প্রবাসীদের জন্য অনেক কল্যাণকর হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের অভিযোগ- দূতাবাসের অধিকাংশ কর্মীই নিজ কাজে অদক্ষ, অযোগ্য এবং খামখেয়ালি। তবে তাদের এসব অযোগ্যতা আর দায়িত্বের প্রতি অবহেলার কারণে কোনো শাস্তি বা জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয় না বললেই চলে। তাই, তাদের সৃষ্ট সব সমস্যার ভোগান্তি গিয়ে পোহাতে হয় ওই প্রবাসী শ্রমিকদেরকেই। নাম- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবাসীরা দূতাবাসের এসব অপেশাদার আচরণের বিষয়গুলোতে মাননীয় রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এদিকে দূতাবাস জানিয়েছে, আগামী ১৬ আসস্ট থেকে দূতাবাসের সব ধরনের কার্যক্রম মেসিলার নয়া দূতাবাস ভবন থেকে পুরোদমে শুরু হবে।
নিউজওয়ান২৪.কম/এআর