হাসপাতালে কাতরাচ্ছে স্কুলছাত্রী, বন্দুকযুদ্ধে ২ ধর্ষক নিহত
নিউজ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৯ বুধবার

বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুইজনের লাশ মর্গের সামনে নেওয়া হয়েছে (ছবি : সংগৃহীত)
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর থেকে দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোররাতে তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
লাশ দুটি জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। লাশ দুটি ঈদের আগের রাতে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলার দুই আসামির বলে সনাক্ত করেছে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা মো. হানিফ (৪০)।
এ বিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, গত রাতে রাজাপুরে দুদল জলদস্যুর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় জলদস্যুরা পুলিশের দিকে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে এক পর্যায়ে জলদস্যুরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া একটি বন্দুক ও দুটি রামদাসহ বেশ কিছু ব্যবহৃত কার্তুজের খোসা উদ্ধার কার হয়েছে।
এদিকে ঈদের আগের দিন রবিবার (১১ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার চরসামাইয়া এলাকায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় আল আমিন ও মঞ্জু আলমকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়। রাজাপুর বেড়িবাধ এলাকা থেকে উদ্ধার লাশ দুটি আল আমিন ও মঞ্জুর আলমের বলে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে শনাক্ত করেছেন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা।
তবে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গ এলাকায় নিহতদের কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ঈদের আগের রাতে হাতে মেহেদি দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালের বিছানার শুয়ে কাতরাচ্ছে ওই কিশোরী। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে বাজার থেকে দুই মেয়ের জন্য মেহেদি কিনে আনেন ভোলা সদর উপজেলার উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর সিফলী গ্রামের কৃষক মো. হানিফ (৪০)। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি গরু বিক্রির টাকা আনতে শহরে যান। বাবা বের হয়ে গেলে দুই বোন রাত ৮টার দিকে পাশ্ববর্তী দুঃসর্ম্পকের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিতে যায়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষমাণ আল-আমিন (২৫) কিশোরীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে সহযোগী বখাটে যুবক মঞ্জুর আলমকে (৩০) সঙ্গে নিয়ে তার হাত-পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ অবস্থায় দুজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষক আল-আমিন মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া।
কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া কথা জানিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মমিনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বয়স কম। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরীকে বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গোপনাঙ্গে থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় পরে ওই ছাত্রী সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদের দিন থেকে শেবাচিম হাসপাতালে রয়েছে।
নিউজওয়ান২৪.কম/আ.রাফি