হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ
ধর্ম ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ১১:৩৭ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৯ বুধবার
পবিত্র মক্কা শরিফ (ফাইল ফটো)
পবিত্র হজ ইসলাম ধর্মের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের একটি। ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে হজ পালন করতে হয়।
বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ লাখ মানুষ এবারের হজে অংশ নেন। এদের অধিকাংশেই সৌদির বাইরের নাগরিক।
জামারতে শয়তানের উদ্দেশে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। কাবা শরীফে বিদায়ী তাওয়াফ করতে হাজিরা মক্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
সৌদি আরবের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত হলেও বড় ধরণের কোনো ঘটনা ছাড়াই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসহ হজের যাবতীয় আয়োজন সফল হয়েছে।
ইসলামের দুই পবিত্র নগরী মক্কা, মদীনার ব্যবস্থাপনা এবং হজ আয়োজনের কৃতিত্ব পেয়ে থাকে সৌদি আরব। পর্যটন শিল্প সম্প্রসারণে হজে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ানোর আশা করছে দেশটি।
সৌদি হাজি জাসেম আলী হাকাই জানান, সপ্তাহ ধরে ভালোভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারায় কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ তিনি।
পাঁচদিন ধরে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালিত হয় হজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ করা বাধ্যতামূলক। হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে আরাফাত ময়দানে অংশগ্রহণ। গত ৯ আগস্ট (শুক্রবার) মিনায় রাত্রি যাপনের পর শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকেই আরাফাত ময়দানে জড়ো হতে শুরু করেন মুসল্লিরা। মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার হেঁটে এখানে যেতে হয়। হাজিরা নামিরা মসজিদ থেকে দেওয়া খুতবা শোনার পর জোহর ও আসরের নামাজ একইসঙ্গে সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করেন। তারপর হজ কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ও কোরান তেলওয়াতের মাধ্যমে সূর্যাস্তের অপেক্ষা করেন। সূর্যাস্তের পর হাজিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাতের ময়দান থেকে রওনা দেন মুজদালিফার দিকে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন। খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেন হাজিরা। তারপর মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করেন। মঙ্গলবার ওই পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।
এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যারা আগে মদিনায় যাননি তারা মদিনায় যাবেন। সেখানে হাজিরা সাধারণত ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। পরে শুরু হবে হাজিদের দেশে ফেরার পালা।
এ বছর হজের সময় এক লাখ ২০ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে নিয়োজিত ছিল প্রায় ৩০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী।
নিউজওয়ান২৪.কম/আহনাফ