যুবলীগ নেতার নকল ট্যাং তৈরির কারখানা সিলগালা
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ৯ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
কারখানায় তৈরি করা হতো নকল ট্যাং। পরে সেই ট্যাং বাজারজাত করতে বিএসটিআইয়ের নকল স্টিকার ব্যবহার করা হতো। এরপর সেটি বাজারে আসত আসল ট্যাং হয়ে। এই কারখানার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সেই কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের ওই কারখানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
ওই কারখানাটি বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের বলে জানা গেছে।
ইউএনও শরীফুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরে উপজেলা সদরের সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনের ওই নকল ট্যাং তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কারখানার দুই কর্মচারী মামুন ও মনিরুল ইসলামকে আটক করে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে কারখানার ট্যাং তৈরির মেশিনসহ মালামাল জব্দ করে কারখানাটি সিলগালা করা হয়। তবে ভ্রাম্যামাণ আদালতের অভিযানের সময় কারখানার মালিক পালিয়ে গেছে।
জানা যায়, উপজেলা সদরের বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন একটি টিনশেড ভবন থেকে ট্যাং তৈরীর বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল জব্দ করা হয়। মালামালের মধ্যে আটা তিন বস্তা, তৈরিকৃত নকল ট্যাং ১০০টি, খালি বোতল ৫০টি, কার্টুন ১০টি, খালি জার ২০০টি, লাল রং ৫ কেজি, চিনি ৪ বস্তা, ফ্লাডিং পাউডার ৫ প্যাকেট, মিকচার মেশিন ৪টি, আইকা ৫টি, লেভেলিং মেশিন ১টি, ওয়েট মেশিন ১টি এবং এ-ওয়ান কঞ্জুমার প্রোডাক্টস ঢাকা বাংলাদেশ নামে বিপুল সংখ্যক নকল ছাপানো লেভেল জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা মালামাল উপজেলা পরিষদ চত্বরে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে নকল ট্যাং তৈরির পাশাপাশি ভোজ্য তেলসহ বিভিন্ন পণ্য নকল করার অভিযোগ রয়েছে।
নিউজওয়ান২৪/ইরু