NewsOne24

রমজানে রোজার প্রস্তুতি 

ধর্ম ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আসন্ন পবিত্র ও মহিমাম্বিত রমজান ইবাদতের বসন্তকাল। ইবাদতকারীর জন্য এখন সময় কেবলই প্রস্তুতির। 

এই প্রস্তুতি রমজানকে বরণ করতে হৃদয়ের ঘরদোর পরিস্কার করে নেয়ার, রমজানের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে দেহ-মন প্রস্তুত করে রাখার। রমজানের নানাবিধ প্রস্তুতির মধ্য হতে এ নিবন্ধে বিশেষ করে পুরো একমাস ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখতে প্রয়োজনীয় দৈহিক ও বস্তুগত প্রস্তুতি সম্বন্ধে কিছু পরামর্শ উল্লেখ করা হলো।

> খাবার গ্রহণ: পরিমিতভাবে খাবার গ্রহণ করুন। অধিক খাবার গ্রহণ করে শরীরকে কষ্ট দেয়ার কোনো অর্থ হয় না। এটি শুধু আপনার চাহিদাকে বৃদ্ধি করবে এবং রোজাকে আপনার জন্য কষ্টকর করে তুলবে।

> সকাল সকাল নাস্তা: রমজানের সারাটি দিন রোজা রাখতে ফজরের সময় হওয়ার আগেই আমরা ঘুম থেকে উঠে কিছু খেয়ে নেই, যা সাহরী নামে পরিচিত। রোজার এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি কখনোই পরিহার করার মত নয়। সাহরীর সঙ্গে শরীরকে মানানসই করার লক্ষ্যে এখন রমজানের আগে যতখানি সম্ভব, সকাল সকাল নাস্তা সেরে রাখুন।

> মাঝখানে হালকা খাবার থেকে বিরত থাকা: শুধু দিনের তিনটি প্রধান খাবারের সময়ই খাবার গ্রহণ করুন; সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার। এর মাঝখানে যেকোনো কিছু খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। রমজানে শুধু দুইটি সময়ের খাবার গ্রহণের সঙ্গে (সাহরী ও ইফতার) নিজেকে মানানসই করার লক্ষ্যে নিজের খাদ্যাভ্যাসকে এভাবে পরিবর্তন করে নিতে পারেন।

> চা-কফি পান হ্রাস করা: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা দিনের মধ্যে কাজের ফাঁকে বারবার চা-কফি জাতীয় পানীয় পান করেন। কাজের ফাঁকে চা-কফি পান না করলে তারা কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন না। রমজানে যেহেতু বার বার চা-কফি পানের সুযোগ পাওয়া যাবে না, তাই হঠাৎ করে চা-কফি পান না করলে তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজে অসংলগ্নতা দেখা দিতে পারে। সুতরাং এই অবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে তাদের জন্য এখন থেকেই চা-কফি পানের পরিমান ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা প্রয়োজন।

> ধুমপান ত্যাগ: যে ধুমপায়ীরা অপ্রস্তুতভাবে রমজানের রোজা রাখা শুরু করেন, তাদের মধ্যে হঠাৎ ধুমপান ত্যাগের কারণে বিভিন্ন প্রকার মানসিক সমস্যা যেমন- বিরক্তি, হতাশা, অধৈর্য প্রভৃতি লক্ষ্য করা যায়। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে জন্য এখনই ধুমপান কমিয়ে আনুন। পাশাপাশি রমজানকে আপনার ধুমপানের মত বদঅভ্যাস ত্যাগের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।

> নফল রোজা: রমজানের রোজার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে কিছু নফল রোজা আদায় করুন। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই রোজা রাখায় অভ্যস্ত হতে পারেন।

> ঘুমের নিয়ন্ত্রণ: আমাদের অনেকেরই বদঅভ্যাস অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা। এই অভ্যাসটি বদল করে আমাদের আগে আগে ঘুমাতে যাওয়া উচিত, কেননা রোজা রাখার জন্য আমাদেরকে সাহরীর ফজরের সময় হওয়ার আগেই ঘুম থেকে উঠতে হবে। সুতরাং, রাতে সময় নষ্ট না করে আমাদের আগে আগে ঘুমের অভ্যাসটা করে নেয়া উচিত।

> প্রয়োজনীয় বস্তুর সংগ্রহ: রোজা শুরু হওয়ার আগেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় বস্তুসামগ্রী যথাসম্ভব সংগ্রহ করে রাখা উচিত। রোজা রেখে বাজার করা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। পাশাপাশি বাজারে সময় নষ্ট করার ফলে অন্য সকল ইবাদতের মাধ্যমে রমজানের বিপুল বরকত অর্জন থেকে আমরা বঞ্চিত হতে পারি। সুতরাং, রোজার আগেই আমাদের উচিত প্রয়োজনীয় বাজার সেরে নেয়া।

> ডাক্তার যোগাযোগ: ডাইবেটিস, রক্তচাপসহ বিভিন্ন প্রকার অসুস্থতায় আপনার যদি রোজা রাখতে সমস্যা হয়, আগেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কেননা, আপনার সুস্থতার ওপর আপনার রোজা রাখার সামর্থ্য নির্ভরশীল।

নিউজওয়ান২৪.কম/আ.রাফি