NewsOne24

গুরুতর অসুস্থ সুবীর নন্দী, লাইফ সাপোর্টে 

স্টাফ রিপোর্টার

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

সুবীর নন্দী                     -ফাইল ফটো

সুবীর নন্দী -ফাইল ফটো

একুশে পদকপ্রাপ্তা জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দী গুরুতর অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

গতকাল (রবিবার) রাতে সিলেট থেকে ঢাকা ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এই গুণী শিল্পী। পরে পরিবারের লোকজন রাত ১১টার দিকে তাকে সিএমএইচে নিয়ে যান।

শির্পীর জামাতা জামাতা রাজেশ শিকদার জানান, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে একই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করেন। 

চিকিৎসকদের বরাতে তিনি বলেন, বাবার অবস্থা বেশি ভালো নয়। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আমরা সবার কাছে আশীর্বাদ চাই।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছেন ৬৬ বছর বয়সী সুবীর নন্দী। নিয়মিতভাবে তার ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছিল।  

সংগীত অঙ্গনে চার দশকের ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছরই তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।

১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় জন্ম সুবীর নন্দীর। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশব কেটেছে চা বাগানের পরিবেশে। প্রাইমারিতে পড়ার সময় মা পুতুল রানীর কাছে সংগীতের হাতেখড়ির পর ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন। ১৯৬৭ সালে সিলেট বেতারে তিনি প্রথম গান করেন। ঢাকা রেডিওতে সুযোগ পান ১৯৭০-এ। ধীরে ধীরে বেতার থেকে টেলিভিশন হয়ে তারপর চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের মাধ্যমে ছুঁয়েছেন লাখো ভক্ত-শ্রোতার অন্তর।

১৯৭৮ সালে আজিজুর রহমান অশিক্ষিত সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে তার গাওয়া ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি দেশজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এসময় থেকে ক্রমশ তার আবেদনভরা দরদী কণ্ঠের আধুনিক রোমান্টিক গান ছড়িয়ে পড়তে থাকে মুখে মুখে।

তার কণ্ঠে গীত হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে, সখি চলনা জলসা ঘরে এবার যাই, দিন যায় কথা থাকে, আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়, ‘আশা ছিল মনে মনে’, ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া’, ‘তুমি এমনই জাল পেতেছ এ সংসারে’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, একটা ছিল সোনার কইন্যা’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’ শ্রোতাদের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে। 

চলচ্চিত্র প্লেব্যাকে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী। এছাড়া চারবার পেয়েছেন বাচসাস (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি) পুরস্কার।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে