NewsOne24

পাট শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে খুলনায় ৪ পুলিশসহ আহত ২০

খুলনা সংবাদদাতা

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

হামলা-ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত পাবলা পুলিশ বক্স

হামলা-ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত পাবলা পুলিশ বক্স

৯ দফা দাবিতে রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিনে বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর নতুন রাস্তা মোড় এলাকায় শ্রমিক-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এসময় শ্রমিকরা নতুন রাস্তা মোড়ে পাবলা পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেন। সংঘর্ষে চার পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ফলে নতুন রাস্তা মোড় দিয়ে যানবাহন ও খুলনার সঙ্গে রাজধানী ও অন্যান্য অঞ্চলের  রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
উল্লেখ্য, পাটকল শমিকদের ৯ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট ও প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে রাজপথ-রেলপথ অবরোধের কর্মসূচির শেষ দিন আজ।
আজও (বৃহস্পতিবার) সকালেও গত দু’দিনের মতো রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। ভোর থেকেই তারা দৌলতপুরের নতুন রাস্তা মোড়ে অবস্থান নিতে থাকেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকরা নতুন রাস্তা মোড়ে অবস্থিত পুলিশ বক্সে হামলা চালায়। 
এসময় পুলিশও মারমুখি হয়ে ওঠে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এলাকা ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
এর সমান্তরালে আজও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। তারা নগরীর খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়ে অবস্থান নিয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়ক, নতুন রাস্তা মোড় থেকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সড়ক, বিআইডিসি সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে রাখে। েএকই সঙ্গে চলমান ছিল বিক্ষোভ মিছিল, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সমাবেশ।
শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের ডাকে খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম এবং যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা এ আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে।
পাটকল শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন জানান, শ্রমিকরা ৭ থেকে ৯ সপ্তাহের মজুরি না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, ঘর ভাড়া দিতে পারছে না। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
মঙ্গলবার রাতে খুলনা অঞ্চলের সমস্ত পাটকল শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয় বলে শ্রমিক সংগঠন সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীর পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয়া টাকা পরিশোধ, টার্মিনেশন ও বরখাস্তের শিকার শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ীকরণ, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করাসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শ্রমিকদের দাবিগুলো এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে আবার নামতে বাধ্য হই।
নিউজওয়ান২৪.কম/এসকে