২০২২ সালের মধ্যেই দেশে ফাইভজি চালু
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার
ফাইল ছবি
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চীন যেভাবে তার বিপুল জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করেছে তেমনি আমাদের তরুণদেরও সম্পদে পরিণত করতে হবে। আগে আইটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে।
অনেক দেশ যেখানে ফাইভজি চালুর চিন্তাই করেনি, সেখানে বাংলাদেশ ফাইভজির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ফাইভজি চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একদিনও পিছিয়ে যাবে না। ২০২২ সালের মধ্যেই বাংলাদেশে ফাইভজি চালু করা সম্ভব হবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সিডস ফর দ্যা ফিউচার ২০১৯ এর গালা রাউন্ড অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, আগে প্রযুক্তি বলতে মানুষ জার্মানিকে বুঝতো। কিন্তু এখন মানুষ চীনকে বোঝে। হুয়াওয়ে সহ চীনের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে যেভাবে নিজেদেরকে বিশ্বের বুকে চীনকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে আমাদের সেভাবে এগিয়ে যাবার সময় এসেছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত তৈরি করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম বিশ্ববাসীকে ডিজিটাল কর্মসূচির সাথে পরিচিত করেছেন। তার এক বছর পর ভারত সরকার এবং ছয় বছর পর ব্রিটেন সরকার ডিজিটাল কর্মসূচি গ্রহণ করে। মোস্তফা জব্বার বলেন, ২০২৩ সাল না সম্ভব হলে এর আগেও চালু করা হবে অত্যাধুনিক ফাইভজি প্রযুক্তি। আমরা ফাইভজি চালুর ক্ষেত্রে এক দিনও পিছিয়ে থাকতে চাই না। মন্ত্রী বলেন, চীনের মতো বাংলাদেশেরও যদি সামনের দিকে যেতে হয় তাহলে নব নব আবিষ্কার ও প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চীনা মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং জেনজুন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক উপদেষ্টা লি ওয়াংজুন।
এসময় সিডস ফর ফিউচার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট ও চুয়েটসহ মোট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্পের উপস্থাপনা তুলে ধরেন। এরা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসফিয়া জাহিন ও সরকার স্নিগ্ধ সারথি দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মায়িশা ফারজানা ও কৌশিক কুমার, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসফিয়া সেউতি ও মিনহাস বিন ফারুকী, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আতিয়া ইসলাম আঁখি ও জাহেদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিশা দেব ও কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে সিডস ফর দ্যা ফিউচার ২০১৯ এর একটি অডিও ভিজুয়্যাল দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল), এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে সিডস ফর ফিউচার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চলতি বছর পঞ্চম বারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়শ' শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক বাছাই করা হয়। এর মধ্য থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫জন করে মোট ৭৫জন শিক্ষার্থী। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে মোট দশ জন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের চীনে হুয়াওয়ে প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
নিউজওয়ান২৪/ইরু