NewsOne24

অস্কার জয়ে গিনেস বুকে ক্যাথরিন হেপবার্ন

শোবিজ ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ০১:৪৮ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রোববার

ক্যাথরিনকে চুল ছোট অবস্থায় পুরুষ বলেও ভুল হতে পারে। শক্ত, কঠিন, লড়াকু নারী চরিত্রে তিনি অদ্বিতীয়া। এই হেপবার্নকে এ কালের তথাকথিত সিনেমাবোদ্ধারা দাম না দিলে কি হবে!

অস্কারের ইতিহাসে তিনি আজ পর্যন্ত নমস্য; সর্বসেরার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। সবচেয়ে বেশি অস্কার জেতা অভিনয়শিল্পী যে তিনি! মেরিল স্ট্রিপই অথবা জ্যাক নিকলসন বা ড্যানিয়েল ডে লুইস কেউই তাকে অস্কার জেতায় ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ চার বার অস্কার জিতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছেন ক্যাথরিন। সবচেয়ে বেশি অস্কার মনোনয়ন পাওয়ার রেকর্ডও একটা সময় পর্যন্ত তাঁরই ছিল।

২০০৩ সালে মেরিল স্ট্রিপ ‘অ্যাডাপ্টেশান’ চলচ্চিত্রের জন্য ত্রয়োদশ বারের মত অস্কার মনোনয়ন পেয়ে রেকর্ডটি ভাঙেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ক্যাথরিন কিন্তু মেরিলের অভিনয় মোটেই পছন্দ করতেন না, স্ট্রিপের অভিনয়কে তিনি একটু বেশি যান্ত্রিক, অতিরিক্ত কৌশলী ভাবতেন।

ক্যাথেরিনের জন্ম ১৯০৭ সালের ১২ মে। বাবা ছিলেন চিকিৎসক আর মা মেয়েদের ভোটাধিকার অর্জনের জন্য সংগঠিত আন্দোলনের এক কর্মী।

তার অভিনয়ের হাতেখড়ি মঞ্চে। বহুদিন মঞ্চে কাজ করে ১৯৩২ সালে ‘আ বিল অফ ডিভোর্সমেন্ট’ সিনেমার মাধ্যমে হলিউডে অভিষেক ঘটে তাঁর। তার পরের বছর মুক্তি পাওয়া “মর্নিং গ্লরি” এবং “লিটল ওমেন” তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়।

“মর্নিং গ্লরি” এর জন্য তিনি প্রথমবারের মত অস্কার মনোনয়ন পান এবং বাজিমাৎ করেন। তারপর ১৯৩৩ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ যুগ ধরে আরও ১১টি অস্কার মনোনয়ন পান। জিতেন আরো তিনটি অস্কার “গেস হু ইজ কমিং টু ডিনার”(১৯৬৭), “দ্যা লায়ন ইন উইন্টার “ (১৯৬৮) ও “অন গোল্ডেন পণ্ড” (১৯৮১) এর জন্য । অবাক ব্যাপার হচ্ছে, এই চারবারের মধ্যে একবারও তিনি সরাসরি উপস্থিত থেকে অস্কার গ্রহণ করেননি।

“আমার মৃত্যু ভয় নেই। মৃত্যু নিশ্চয়ই খুব চমকপ্রদ হবে গভীর নিদ্রার মত” - মনে করেন ক্যাথরিন হেপবার্ন। ২০০৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন ক্যাথেরিন হেপবার্ন।

নিউজওয়ান২৪.কম