আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার
ছবি সংগৃহীত
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে (৫৮) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সাতজনকে সদরে ফেরার পথে গুলিতে হত্যার ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে এ নৃশংস ঘটনাটি ঘটল।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের আলিখ্যিয়ং এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এদিকে ঘটনার পর এলাকায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। ঘটনার জন্য জেএসএসকে (মূল দল) দায়ী করছেন তারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেএসএস। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ওই সময় নিজ বাড়ি থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে তার স্ত্রী ও এক ছেলেসহ বিলাইছড়ি সদরে যাচ্ছিলেন সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা। পথে অস্ত্রের মুখে বোটটি থামায় ৫-৬ জনের একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। এ সময় তার স্ত্রী ও ছেলেকে লাথি মেরে বোট থেকে কূলে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এর পর সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যার ওপর নির্বিচারে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা। পরে খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
বিলাইছড়ি থানার ওসি পারভেজ আলী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার জন্য জেএসএসকে দায়ী করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীরা আমাদের দলীয় বিলাইছড়ি উপজেলা সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে। জেএসএস এটি ঘটিয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি ভালো হবে না।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন বলেন, সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নীলোপল খীসা বলেন, কিছু ঘটনা ঘটলে আমাদের ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের সশস্ত্র কেউ নেই।
মূলত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করে তা অন্য খাতে প্রবাহিত করতে জেএসএসের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করে আসছে।
নিউজওয়ান২৪/ইরু