ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে মাহমুদউল্লাহর প্রশ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
আজ শেষ হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে কোনো ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি না পেলেও পরিণতি হয়েছে একই। নিউজিল্যান্ডে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছিল। ম্যাচটি হারতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। ইনিংস এবং ১২ রানে হেরেছে মাত্র আড়াই দিনে। নিউজিল্যান্ড যেখানে এক ইনিংসেই করেছে ৬ উইকেটে ৪৩২; সেখানে দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের রান ৪২০। এর দায় যে ব্যাটসম্যানদের ওপরেই বর্তায় সেটা আর বলে দিতে হয় না। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও একই সুর শোনা গেল।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, 'নতুন বলে যেভাবে শুরু করেছিলাম, প্রথম ইনিংসে সাদমান-তামিম ভালো শুরু করেছিল। প্রথম টেস্টেও তাই হয়েছিল। ইনিংসের মাঝে ওয়াগনার যখন বাউন্সার-থিওরি কাজে লাগাতে শুরু করল, কিছুক্ষণ ভালো খেলার পর আর পারিনি। আরেকটু সাহস নিয়ে খেলতে হবে। দ্বিধায় থেকে আমরা অনেক ব্যাটসম্যান এই ভুল করেছি। দোনো মনায় ভুগছি, মারব কি মারব না। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ, তিনটা নতুন পেসার, ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ব্যাটসম্যানদের দোষই বেশি। আড়াই দিনে আমরা দুবার অলআউট হয়েছি, যেটি খুবই হতাশার।'
নিউজিল্যান্ডে গেলে শর্ট বল সামলাতে হবে সেটা সবারই খুব ভালোভাবে জানা। কিন্তু তারপরেও উইকেটে টিকে থাকার বদলে শট খেলতে গিয়ে একের পর এক ব্যাটসম্যানরা আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টা নিয়ে ব্যাটসম্যানদেরকেই দোষ দিলেন মাহমুদউল্লাহ, 'এটা আমরা জানতামই। সবশেষ যখন এখানে টেস্ট খেলেছিলাম তখনো ওয়াগনার ছিল। বাংলাদেশে খেলতে গেলে প্রতিপক্ষ আমাদের স্পিনারদের নিয়ে চিন্তা করে। উইকেটে আমাদের স্পিনারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকে। এখানে ওদের বোলাররা পিচের সুবিধা কাজে লাগাতে পেরেছে, আমরা পারিনি।'
তবে দল নিয়ে একেবারে হতাশ নন অধিনায়ক। তার মতে, ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশ, 'বিশ্বাস করি যে আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও স্কিল আছে ওদের কৌশল সামলানোর। যেটা বললাম, দ্বিধার মধ্যে অনেক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। প্রথম ইনিংসের কথা যদি বলি, আমি দ্বিধায় ছিলাম, মারব কি মারব না। এর পর আউট হয়ে গেছি। এগুলো নিয়ে পরিষ্কার থাকলে আরও ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হবে।'