NewsOne24

পবিত্র কোরআন নাজিলের ইতিহাস

নিউজ ডেস্ক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

পবিত্র আল কোরআন- মানুষের ইহলৌকিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির দিগদর্শণ, মুসলিম উম্মাহর জন্য শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত। 

বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর কাছ থেকে হজরত জিবরাঈল (আ.) ফেরেশতা মারফত সুদীর্ঘ ২৩ বছরে এটি অবতীর্ণ হয়।

পবিত্র কোরআন মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। পবিত্র কোরআনকে সর্বকালের, সর্বদেশের, সর্বলোকের জীবনবিধান ও মুক্তির সনদ হিসেবে আল্লাহ তায়ালা ওহির মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআন নাজিলের ছয় মাস আগে থেকেই আল্লাহ তায়ালা তার হাবিব হজরত মুহাম্মাদ (সা:)-কে স্বপ্নের মাধ্যমে এ মহান কাজের জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছিলেন।

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা:) এর ওপর ওহি নাজিলের সূচনা হয়েছিল স্বপ্নের মাধ্যমে। তিনি স্বপ্নে যা দেখতেন তা দিনের আলোর মতো তাঁর জীবনে প্রতিভাত হতো।

পবিত্র মাহে রমজানের শবে কদরে নাজিল শুরু হয়েছিল আল-কোরআন। রমজান মাসের শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত ‘আল-কোরআন’ বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রতি আল্লাহর কাছ থেকে সময়ে সময়ে জিবরাঈল (আ.) ফেরেশতা মারফত ২৩ বছরে অবতীর্ণ হয়। 

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের সুস্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী রূপে আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

মহান আল্লাহপাক ফেরেশতা হজরত জিবরাঈল (আ.) এর কর্তৃক মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর মাধ্যমে পবিত্র হেরা গুহায় কোরআন শরীফ নাজিল করেছিলেন। তাহলে আসুন, জেনে নিই কিভাবে পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল হয়েছিল। প্রথম ওহি-‘পড়ো তোমার প্রভূর নামে যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আলাক ১-৫)

সর্বশেষ ওহি-‘সে দিনকে ভয় করো, যে দিন তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরিয়ে নেয়া হবে।’ (সূরা আল বাকারা ২৮১)

‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের ওপর আমার নেয়ামত পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের জন্যে জীবন বিধান হিসেবে আমি ইসলামের ওপর সন্তুষ্ঠ হলাম।’ (সূরা আল মায়েদাহ ৩)

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ